পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । জ্ঞানালোক দিয়ে সকলের মধ্যে প্ৰসুপ্ত ব্ৰহ্মীসিংহকে জাগরিত কত্তে জগতে সন্ন্যাসীর জন্ম হয়েছে।” পরে নিজ ভ্ৰাতৃগণকে লক্ষ্য করিয়া "খালিতে লাগিলেন, “আত্মনে মোক্ষাৰ্থং জগদ্ধিতায় চ” আমাদের জন্ম। কি কচ্ছিস সব বসে ব’সে ? ওঠ জাগ-নিজে জেগে৷ অপর সকলকে জাগ্ৰত কক্‌-নরজন্ম সার্থক করে চ’লে যাউক্তিষ্ঠিত জাগ্ৰত প্ৰাপ্য বরান নিবোধত।” ইহার কয় দিবস পরে স্বামিজী পুনবায় দুইজনকে দীক্ষাপ্রদান করেন। শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী (স্বামিশিষ্যসংবাদ-প্ৰণেতা) ও স্বামী শুদ্ধানন্দ। স্বামী শুদ্ধানন্দ তখন ব্ৰহ্মচারিবাপে মঠভুক্ত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তান্ত্রিকী দীক্ষা গ্ৰহণ করেন নাই ; এ দিন শরৎবাবু ও তিনি উভযে এই ভাবে দীক্ষিত হইলেন। ১৩০৩ সালের ১৯ শে বৈশাখ ঐ কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। দীক্ষান্তে স্বামিজী পূজাঘর হইতে বাহির হইযা নিৰ্ম্মলানন্দ স্বামীকে দেখিযা আনন্দ সহকারে বলিযা উঠিলেন “তুলসি আজ দুটো বলি হোলো ।” তারপব অনেকক্ষণ ধবিমা পাপের উৎপত্তি, অহংভাব নাশ ও আত্মজ্ঞানলাভের উপায় সম্বন্ধে কথাবাৰ্ত্তা বলিতে লাগিলেন । এই সমযে স্বামিজী আলমবাজারের মঠে ও কখন কখনও কলিকাতায় বলরাম বসু মহাশয়ের বাগবাজারস্থ ভবনে থাকিয়া ঘুৰকগণের মধ্যে বৰ্ত্তমান কালোপযোগী শিক্ষা ও উপদেশ দান করিতে লাগিলেন। কিন্তু বহুদেশ ভ্ৰমণের ফলে তঁহার ধারণা হইয়াছিল যে সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাৰ্য্য না করিলে কোন বৃহৎকৰ্ম্ম সম্পন্ন হওয়া সুকঠিন। সেজন্য তিনি ১৮৯৭ সালের ১লা মে 3.