পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণমিশন প্রতিষ্ঠা। মূলতত্ত্বটী সম্যক প্ৰণিধান করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। দেখিয়াছিলেন, তিনি কেবল শুষ্ক ত্যাগ-বৈরাগ্যের উপদেষ্টা-মাত্র নহেন, র্তাহার অন্তর মূৰ্ত্তিমতী করুণার অমল পদ্মাসন। যে হৃদয় তৃণগুচ্ছের বেদনায় পৰ্য্যন্ত হাহাকার করিয়া উঠিত, পশুপক্ষীর দুঃখে বিদীর্ণ হইয়া যাইত তাহা যে অনাথ আতুর নরনারীর দৈন্য দুৰ্দশায় কিরূপ ব্যথিত ও আকুল হিষ্টত তাহা কি কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে ? কে না দেখিয়াছে অত্যাচার ক্লিষ্ট, বুভূক্ষা-নিপীড়িত হতভাগ্য মানবগণের যন্ত্রণা দেখিয়া তিনি কিরূপ ‘ভাস্থির হইতেন। এবং তাহা নিবারণের জন্য কিরূপ সচেষ্টব্যগ্রতা প্ৰদৰ্শন করিতেন ? যিনি জীবনের প্রতিমুহূৰ্ত্তে জীবমাত্রকেই নারায়ণ জ্ঞান করিতেন তাহার বিশ্বপ্লবী প্রেম কি মানবের কাতর ক্ৰন্দ্ৰন শ্ৰবণে নিশ্চেষ্ট থাকিতে পারে ? না, প্ৰেমৈক লক্ষ্য মানব-সেবাস্ত্রত তাহার নিকট হেয় বা অনভিপ্রেত হইতে পারে?”স্বামী বিবেকানন্দ তাহার অসামাষ্ট্র চরিত্রের সকল দিক্‌ বিশেষ ভাবে পৰ্যবেক্ষণ করিয়াছিলেন বলিয়াই এ তত্ত্বটি বুঝিয়েছিলেন। এবং বুঝিয়া যে, তিনি নির্ভয়চিত্তে মুক্তকণ্ঠে তাঁহা সৰ্ব্বসাধারণের নিকট, ব্যক্ত করিয়া সকল বাধা বিন্ন অতিক্ৰম করিয়া শ্ৰীগুরুর উদ্দেশ্যানুধ্যায়ী কাৰ্য সফল করিতে পারিয়াছিলেন ইহাই তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। এজন্য তিনি মানব মাত্রেরই ধন্যবাদের পাত্ৰ কিন্তু এ কাৰ্য্যটি যত সহজ বোধ হইতেছে প্রকৃতপক্ষে তত সহজে স্ক্রিদ্ধ হয় নাই। গুরুভ্রাতাগণকে ; স্বীয় মতে আনয়ন করিতে অঁহাকে যে বিশেষ বেগ পাইতে হইয়াছিল নিম্নলিখিত R