পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । যোগানন্দ স্বামীর সহিত উপরোক্ত কথাবাৰ্ত্তার পর একদিন সন্ধ্যার সময বলরামবাবুর বাটতে বসিযা স্বামিজী গুরুভ্রাতাগণের সহিত রহস্যালাপ করিতেছেন এমন সময় পুনরাষ্য পূর্ববৎ একজন গুরুভ্রাতা সহসা বলিযা উঠলেন। তিনি কেন শ্ৰীৱামকৃষ্ণদেবকে প্রচার করিবার চেষ্টা করিতেছেন না এবং শ্ৰীবামকৃষ্ণদেব প্রদত্ত শিক্ষা ও উপদেশের সহিত তৎপ্ৰবৰ্ত্তিত কাৰ্য্যসমূহের ঈক্য কোন খানে ? বাহিরের লোকের নিকট তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত আচাৰ্য্যেব। পদবীতে আবদ্ধঢ় হইলেও গুৰু লতা ও অন্তরঙ্গ ভক্তমণ্ডলীর নিকট তিনি চিরদিনই সেই কৌতুকপরাষণ ব্যঙ্গ-রহস্তপ্রিস নরেন্দ্ৰনাথই ছিলেন । তঁহদেব সহিত আলাপ কালে তঁহাব হৃদয সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হইত। কোথাও এতটুকু আবরণ থাকিত না । সবল বালকের ন্যান্য কত কথা কাটাকাটি কবিতেছেন, কত হাসিতামাস হইতেছে, কত রঙ্গ কত বিদ্রুপ চলিতেছে । কখন কুঁতিনি তঁাহাদিগকে আক্রমণ করিতেছেন কখনও বা তাহারা তাহাকে আক্রমণ করিতেছেন, এমন কি শ্ৰীশ্ৰীগুকদেব পৰ্য্যন্ত এ প্ৰেম কলহের উচ্ছল স্রোতোবেগের মুখে দু একটা আঘাতেৰ হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইতেন না। এ সকল দৃশ্য প্ৰেমরহস্যের অন্তৰ্মম্মানভিজ্ঞ সাধারণের জন্য মহে, কারণ র্তাহারা হযত ইহা হইতে কিছু বুছিতে না পারিয়া বিকৃতাৰ্থ করিয়া বসিবেন। কিন্তু গুৰুভাইরা সব বুঝিতেন, এবং অনেক সময় ইচ্ছা করিযী। তাহাকে ঘাটাইয়া মজা দেখিতেন। যত বেশী গালি খাইতেন ও কঠোর কথা শুনিতেন ততই যেন অধিক আনন্দ বোধ করিতেন। १३२,