পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা। এদিনও তা হাই হইতেছিল। সুতরাং স্বামিজী প্ৰথমে ব্যঙ্গচ্ছলে উত্তর করিলেন—“তুই কি জানিস্ ? তুই ত ঘোর মুর্থ। যেমন গুরু তার তেমনি চেলা ! প্ৰহলাদের মত “ক” দেখেই কেঁদে সারা । তোরা সব ভক্তের দল, অর্থাৎ কতকগুলো ভাববোগগ্ৰস্ত উন্মাদ । তোবা ধৰ্ম্মেব কি জানিস্ ? শুধু কচি খোকার মত নাকে কাঁদতে পারিস্ (ওহে প্ৰভু, তোমার কি সুন্দব নাক, কিবা চোখ। কিবে সব আহাময়ি” ইত্যাদি। মনে করেছিস এতেই তোদের মুক্তি হাতের ভেতর, আর শেষ দিনে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব এসে তোদের হাতে ধবে একেবারে গোলোকে টেনে নিয়ে যাবেন । আর জ্ঞানের চর্চা লোকশিক্ষা আৰ্ত্ত অনাথের সেবা এ সব মায়া-কেন না পরমহংসদেব ওসব করেন fe আর কাকে কাকে নাকি বলেছিলেন “আগে ভগবান লাভ কর, তার পর আর সব। পরের উপকার কৰ্ত্তে যাওয়া অনধিকার চৰ্চা’-যেন ভগবান লাভ কণা মুখের কথা ! ভগবান একটা খেলনা কি না যে খুঁজলেই মুঠোর মধ্যে পড়বে | বলিতে বলিতে তিনি হঠাৎ গম্ভীর ভাব ধারণ করিলেন। এবং উচ্ছসিত হৃদয়বেগ দমন করিতে না পারিয়া গৰ্জন করিয়া উঠিলেন-“তোমরা মনে করেছে, যে তোমরাই তাকে বুঝতে পেরেছ আর আমি কিছুই পারিনি। তোমরা মনে কর জ্ঞানটা একটা নীরস শুষ্ক জিনিষ। তার চর্চা করতে গেলে প্ৰাণের কোমল ভাবটাকে একেবায়ে গলাটিপে মাত্তে হয। তোমরা যাকে ভক্তি বলছে সেটা যে একটা দারুণ আহাম্মোকি, কেবল so