পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । আদর্শেরই অনুসরণ করিতে উপদেশ দিলেন। তিনি আরও বলিলেন শিক্ষার অর্থ মানুষের অন্তর্নিহিত দেবত্বের বিকাশ সম্পাদন। সুতরাং শিক্ষাদান কালে শিক্ষার্থীর উপর অসীম শ্রদ্ধা বিশ্বাস রাখিতে হইবে। মনে করিতে হইবে প্ৰত্যেক বালক অনন্ত শক্তির আধার, আর সেই শক্তিকে, সেই নিদ্রিত ব্ৰহ্মকে জাগরিত করাই শিক্ষকের কৰ্ত্তব্য। আর একটি জিনিষও শিক্ষা দিবার সময় মনে রাখিতে হইবে। সেটি হইতেছে। ছাত্রদিগের মধ্যে মৌলিক চিন্তা-প্রবাহ উদ্রেকের চেষ্টা । বালকেরা যাহাতে নিজে নিজে চিন্তা করিতে শিখে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা ও উৎসাহ দান করা কীৰ্ত্তব্য। এই মৌলিক চিন্তার অভাবই ভারতের বর্তমান দুৰ্দশার কারণ। তিনি বলিলেন, বালককে কেহ শিখায় না। সে নিজেই শিখে, শিক্ষক শুধু তাহাকে সাহায্য করেন মাত্র। যদি এই ভাবে ছেলেদের শিক্ষা দেওয়া হয় তবে তাহারা মানুষ হইবে এবং জীবন-সংগ্রামে নিজেদের সমস্যা পূরণে সমর্থ হইবে । ইত্যাদি।-- অভ্যর্থনা-সভার প্রজাগণ পূৰ্বপ্রচলিত প্রথানুসারে পাঁচটা বৃহৎ পাত্ৰ স্বর্ণমুদ্রায় পূর্ণ করিয়া রাজাকে উপহার প্রদান করিয়াছিল। তাহার অধিকাংশই রাজা শিক্ষার উন্নতিকল্পে নিয়োগ করিতে আদেশ দিলেন। পরে প্রধান প্রধান রাজকৰ্ম্মচারী ও প্ৰজাগণ প্ৰত্যেকে স্বামিজীকে প্ৰণাম করিয়া দুইটী করিয়া রৌপ্যমুদ্রা প্ৰণামী স্বরূপ অৰ্পণ করিলেন। এই কাৰ্য্যে দুই ঘণ্টা সময় লাগিল। খেতড়ি পরিত্যাগ কালে মহারাজ ዓ፭sቅ