পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তর ভারতে প্রচার স্বামিজীকে তিন সহস্র মুদ্রা অর্পণ করিলেন, স্বামিজী তৎক্ষণাৎ তাহা মঠে স্বামী সদানন্দ ও বড় সচিদানন্দের নিকটে প্রেরণ করিলেন । ২০শে ডিসেম্বর স্বামিজী শিষ্যগণের সহিত যে বাঙ্গালায় ছিলেন তাহার। হলঘরে “বেদস্তবাদ” সম্বন্ধে দেড়ঘণ্টা ধরিয়া একটি সুন্দর বক্তৃতা দিলেন। স্থানীয় সমুদয় ভদ্র ও শিক্ষিত ব্যক্তি এবং কয়েকটি ইউরোপীয় মহিলা উপস্থিত ছিলেন। রাজাজি সভাপতি হইয়াছিলেন। দুঃখেয় বিষয়, এখানে কোন সাঙ্কেতিক লিখনবিৎ না থাকাতে সমগ্ৰ বক্তৃতাটি পাওয়া যায় না। তবে স্বামিজীর দুইজন শিষ্য সেই সময়ে যে নোট লইয়াছিলেন তাহা হইতে কিছু কিছু জানিতে পারা যায়। সৰ্ব্বপ্রথমে তিনি গ্রীক ও হিন্দু সভ্যতার তুলনা করিলেন এবং কেমন করিয়া ধীরে ধীরে ভারতীয় সভ্যতা ইউরোপে পিথগোরস, সক্রেটস, প্লেটে এবং মিশরের নিওপ্লেটোনিষ্টদিগের সাহায্যে স্পেন, জাৰ্ম্মানী এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিস্তৃত । হইয়াছিল। তাহা দেখাইলেন। পরে বেদ ও বৈদিক গাথাসমূহের আলোচনা করিয়া বিভিন্ন বিভিন্ন ভাব ও সাধনাবস্থার পরিচয় প্ৰদান করিলেন ও বলিলেন সমস্ত ভাবেরই পশ্চাতে এই এক মহা ভাব বৰ্ত্তমান-“একং সদ্বিপ্ৰাঃ বহুধা বদন্তি।” অনস্তর তিনি অদ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত ও দ্বৈতভাবের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলিলেন ‘বড় বড় ভাষ্যকারেরাও মূলের বিকৃতাৰ্থ করিয়া থাকেন। বড় দুঃখের বিষয় এদেশের লোক এখন না। হিন্দু না বেদান্তবাদী না কিছু। তাহারা কেবল