পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । ছুৎমার্গের অনুসরণ করে। এ ভাবটাকে দূর কৰ্ত্তে হবে। যত শীঘ্ৰ দূর হয়, ততই ধৰ্ম্মের, পক্ষে মঙ্গল। উপনিষদের মাহাত্ম্য চারিদিকে প্রচার কল্প জ্ঞানের আলো জালাও আর সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ রহিত কর।” বলিতে বলিতে দুৰ্বলতা বশতঃ স্বামিজী, কিয়ৎক্ষণ বিশ্রাম করিতে বাধ্য হইলেন। কারণ শরীর সুস্থ না থাকায় অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। শ্ৰোতৃমণ্ডলী বক্তৃতার অবশিষ্টাংশ শ্রবণেচ্ছায় উৎসুকভাবে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। অৰ্দ্ধঘণ্টা পরে তিনি পুনরায় আরম্ভ করিলেন এবং বহুত্বের মধ্যে একত্বের অনুসন্ধানই যে সকল ধৰ্ম্ম ও বিজ্ঞানের চরম লক্ষ্য এইটি বুঝাইয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন। সর্বশেষে তিনি রাজাকেও তাহার ক্ষত্ৰিয়োচিত গুণগ্রামের জন্য এবং পাশ্চাত্যদেশে সনাতন ধৰ্ম্মবিস্তারের সহায়তা করণের জন্য ধন্যবাদ দিলেন। খেতড়িবাসিগণ এই বক্তৃতায় অতিশয় মুগ্ধ इछेशांछिलन । খেতড়িতে স্বামিজী যে কযদিন ছিলেন কতকটা বিশ্রাম ও আমোদে কাটাইলেন। সাধারণের কাৰ্য্যে যোগদান ও একটু আধটু বক্তৃতা করিতে হইলেও মোটের উপর অধিকাংশ কাল বন্ধুদিগের সহিত বিশ্ৰাম্ভালাপ, প্ৰাকৃতিক শোভাসন্দর্শন ও অশ্বারোহণাদিতে অতিবাহিত হইয়াছিল। রাজাজি অনুগত শিষ্যের ন্যায় প্রায় সৰ্ব্বক্ষণই তাহার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেন। একদিন তঁাহারা উভয়ে অশ্বারোহণে ভ্ৰমণে বহিৰ্গত হইয়াছেন, এমন সময়ে স্বামিজী সহসা দেখিলেন রাজার হস্ত ዓ ፭s8