পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তর ভারতে প্রচার । হইতে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হইতেছে। একটি কণ্টকময় বৃক্ষশাখা স্বামিজীর গমনপথ রোধ করাতে রাজা তাহী স্বহস্তে ধারণ করিয়া একপাশ্বে সরাইয়া দিয়াছিলেন, তাহাতেই এবস্থপ্রকার রক্তপাত হইতেছিল। স্বামিজী রাজাকে মুদু ভৎসনা করিলে তিনি সহাস্তে বলিলেন “স্বামিজী, ধৰ্ম্মের রক্ষাই কি আমাদের চিরদিনকার কৰ্ত্তব্য নিতে ?” খেতড়ি কইতে স্বামিজী পুনরায় জয়পুরে প্রত্যাগমন করিলেন। রাজাজিও জয়পুর। পৰ্যন্ত র্তাহার সঙ্গে গেলেন। সেখানে তঁহার সভাপতিত্বে স্থানীয় এক দেবালয়ে স্বামিজীর এক বক্তৃত হইল। তাহাতে প্ৰায় পাচশত শ্ৰোন্ত উপস্থিত ছিলেন । এখান হইতে স্বামিজী শ্ৰীমৎ কৃষ্ণলাল ব্ৰহ্মচারী ব্যতীত সমুদয় শিষ্যকে বেলুড় মঠে পাঠাইয়া দিয়া কিষেণগড়, আজমীর, যোধপুর, ইন্দোর, খাণ্ডোয়া প্ৰভৃতি স্থান হইয়া কলিকাতায় প্ৰত্যাগমন করিলেন । যোধপুরে তিনি প্রায় দশদিবস প্রধান অমাত্য রাজা স্যার প্ৰতাপসিংহের গৃহে আতিথ্য গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং প্ৰত্যেক স্থানেই ষ্টেশনে বহুসংখ্যক ব্যক্তি র্তাহার অভ্যর্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। ইন্দোরের অন্তৰ্গত খাণ্ডোয়ায় উপস্থিত হইয়া যখন তিনি পূৰ্ব্বপরিচিত উকীল হরিদাস চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বাটীতে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন তখন তঁাহার প্রবল জ্বর। আট দশ দিনের মধ্যে হরিদাস বাবুর চেষ্টায় জ্বর উপশম হইলে তিনি পুনরায় যাত্রার উদ্যোগ করিলেন। বিদায়ের পূর্বদিবস হরিদাস বাবু স্বামিজীর চরণ ধারণপূর্বক দীক্ষা প্রার্থনা so