পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া”। উৎসাহের আবেগে বলিয়া উঠিলেন ‘ওঃ ! তিনিই ছিলেন মোগলবংশের কুলতিলক ! আমন সৌন্দৰ্য্যবোধ ইতিহাসে আর দেখতে পাওয়া যায় না । আর নিজেও একজন উৎকৃষ্ট কলাবিৎ ছিলেন-আমি তাহার স্বহস্তে চিত্রিত একখানি হৃস্তলিখিত পুথি দেখিয়াছি--তাহ। ভারতীয় শিল্প-ভাণ্ডারের গৌরবস্থল ; কি প্রতিভা !” আবার আকবরের সম্বন্ধে আরও বেশী বুলিতেন এবং সে সময়ে বাস্পাবেগে তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া যাঠােত । আগ্রার সেকেন্দ্রার উন্মুক্ত সমাধিক্ষেত্রের পাশ্বে দণ্ডায়মান হইলে এই আবেগের হেতু সহজেই উপলব্ধি হইবে। কিন্তু মনুষ্য-প্রদায়ের যে ভাবগুলি সব্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত স্বামিজীর মধ্যে তাহারও অভাব ছিল না । এক ভাবের উদয়ে তিনি চীনকে জগতেক, রত্নভাণ্ডায় বলিয়া উল্লেখ করিলেন এবং সেখানকায় মন্দিরের প্রবেশদ্বারের উপরিভাগে যে প্রাচীন ধাঙ্গলা অক্ষরে লেখা দেখিয়াছিলেন সে কথা বলিতে বলিতে তাহার শরীর যেন হৰ্ষাবেগে রোমাঞ্চিত হইতে লাগিল, প্ৰাচ্য লোকদের সম্বন্ধে পাশ্চাত্যবাসীদের ধারণা যতদূর শিথিল ও অস্পষ্ট তাহার একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত এই যে তঁহার শ্রোতৃবর্গের মধ্যে একজন বলিয়া উঠিলেন, চীনেদের মত অসন্ধত্যপরায়ণ জাতি আর দুনিয়ায় নেই। প্ৰকৃতপক্ষে কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক বিপরীত, কারণ মুক্তরাজ্যে চীনেরা বাণিজ্য-বিষয়ক সততার জন্য সুপ্ৰসিদ্ধ, এমন কি ও-বিষয়ে তাহদের কথার মূল্য পাশ্চাত্যদের লেখাপড়ার চেয়েও অনেক বেশী। সুতরাং উপরোক্ত মন্তব্যটী সম্পূর্ণ মিথ্যা, এবং যদিও উহা লজ্জাকর ryt 8