পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে । “যে সামান্য কাৰ্য্য আমাদ্ধারা হইয়াছে তাহা অামাব নিজের কোন অন্তর্নিহিত শক্তিবলে হস্য নাই, পাশ্চাত্য দেশে পৰ্যটন কালে এই পবম পবিত্র আমার প্ৰিযতম মাতৃভূমি ভক্টতে যে উৎসাহ বাক্য, যে শুভেচ্ছা, যে আশীৰ্ব্বাণী লাভ করিষাছি, উহা সেই শক্তিতেই কেইষাছে । অবশ্য কিছু কায তইষাছে বটে, কিন্তু এই পাশ্চাত্যদেশ সমণে বিশেষ উপকাব হইষাছে আমায়। কাবণ পুর্বে, যাঙ্গা হয তা হৃদযের আবেগে বিশ্বাস কবিতাম, এখন সে বিষয় আমার পক্ষে প্ৰমাণসিদ্ধ সত্য হইয়া দাড়াই যাছে। পূৰ্ব্বে সকল হিন্দির মত আমিও বিশ্বাস কবিতাম-ভারত পুণ্যভূমি-কৰ্ম্মভূমি। মাননীয সভাপতি মহাশযও তাহা বলিয়াছেন। কিন্তু আজি আমি এই সভার সমক্ষে দাড়াঈষা দৃঢ়তার সহিত বলিতেছি-ইহা সত্য, সত্য, অতি সত্য। যদি এই পুথিবীব মধ্যে এমন কোন দেশ থাকে, যা তাকে ‘পুণ্যভূমি' নামে বিশেষিত করা যাইতে পারে- যদি এমন কোন স্থান থাকে, যেখানে পৃথিবীর সকল জীবকেই তাতার কৰ্ম্মফল ভূগিতে আসিতে কষ্টবে-যদি এমন কোন স্থান থাকে, যেখানে ভগবল্লাভাকাঙ্কী জীব মাত্ৰকেই পরিণামে আসিতে হইবে-যদি এমন কোন স্থান থাকে, যেখানে মনুষ্যজাতির ভিতর সর্বাপেক্ষা অধিক শান্তি, ধৃতি, দ্যা, শৌচ প্রভৃতি সদগুণের বিকাশ হইয়াছে—যদি এমন কোন দেশ থাকে, যেখানে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক আধ্যাত্মিকতা ও অস্তদৃষ্টিব্য বিকাশ হইয়াছে- তবে নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারি, তাহা আমাদের মাতৃভূমি এই ভারতবর্ষ। অতি প্ৰাচীন কাল হইতেই এখানে বিভিন্ন ধৰ্ম্মেল্প সংস্থাপকগণ আবির্ভূত হইয়া সমগ্র জগৎকে y