পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । নয়। হয় ত ক্ষীরভবানীতে একটু জোরে তপস্যা করার দরুণ হযেছে।” তঁহার মনকে বিষযান্তরে নিবিষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে শরৎবাবু তঁহাকে তীর্থযাত্রার গল্প শুনাইবার জন্য ধরিয়া বসিলেন । ইহাতে স্বামিজীয় যেন অনেকটা বাস্থ চৈতন্য হইল । তিনি গল্প করিতে করিতে হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, “আমলনাথ থেকে আসা অবধি শিব মাথাব্য চড়ে বসেছেন, কিছুতেই সেখান থেকে নড়তে চাচ্ছেন না।” কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ থাকিযা পুনরাষ বলিলেন “অমরনাথে যাবাব সময় এমন সব উচু উচু জাযগাব উঠেছিলুম, যেখানে কোন যাত্রীরা যান না। সেই নিৰ্জন পথে ঠাট বার জন্য আমার কেমন একটা বেঁটাক চেপেছিল। সে সময় শরীর বোধ ছিল না। মনটা কেবল শিবমষ হয়ে গেছলো। সেই গুরুতর পরিশ্রমে শরীবটা জখম হযেছে। সেখানে এত শীত যে গায়ে যেন হাজাৰ হাজাল ছুচি ফুটিযে দিত। যাবার সময় কিন্তু শীত গ্রীষ্ম কিছু বোধ ছিল না। সৰ্ব্বাঙ্গে ছাই মেখে একখান কৌপীন এটে গুহাব মধ্যে ঢুকেছিলুম। কিন্তু যখন বেরিয়ে আসি তখন শীতে হাত পা একেবারে অসাড়া।” শুরুত্বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন “শোনা যায় যে অমরনাথের গুহায় এক রকম সাদা পায়রা আছে, তাদের যারা দেখতে পায় তাদেরই তীর্থযাত্রা সফল হয় ও সব মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। আপনি কি ওরকম কোন পায়রা সেখানে দেখেছিলেন ? স্বামিজী বলিলেন “হঁ স্থা, জানি। আমি ৩৪টা সাদা পায়রা দেখেছি, কিন্তু তারা মন্দিরের ভিতর থাকে কি কাছাকাছি পাহাড়ে থাকে তা বলতে পারি না।” tr