পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগবৃদ্ধি । তারপর ক্ষীরভবানীয় মন্দিরে দৈববাণীর কথা উঠিল। শরৎবাবু বলিলেন “সম্ভবতঃ উহা আপনার নিজেরই চিন্তার প্রতিধ্বনি মাত্ৰ-সম্পূর্ণ ভেতরেব জিনিষ, বাহিবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই ।” স্বামিজী উত্তর করিলেন ‘আমাৰ ভেতর থেকেই হোক বা বাহির থেকেই আসুক, কিন্তু তুমি যদি স্বকৰ্ণে শোন (যেমন এখন আমার কথা শুনচো ) যেন একটা শব্দ আকাশ থেকে আসূচে, স্মথচ কোন লোক দেখতে পাওযা যাচে না, তাহ’লে কি তার সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ কবতে পার ?” পরে শরৎবাবু স্বামিজীকে ভূতযোনি দেখিযাছেন। কিনা।” জিজ্ঞাসা কবীয় স্বামিজী উত্তর দেন যে মাঝে মাঝে একজন আত্মীয্যের প্ৰেতাত্মা তাহাকে দর্শন দিতেন ও দূরের সংবাদাদি আনিয়া দিতেন, কিন্তু সব সময় "তাহার কথা সত্য প্রমাণ হইত না । একবাব কোন তীর্থে স্বামিজী উক্ত প্ৰেতাত্মার উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা কখেন । তার ^াল হইতে আর তাঙ্কার দর্শন পাওয়া যায় নাই । & এই সময়ে স্বামিজীকে চিকিৎসার জন্য প্রায়ই কলিকাতায় থাকিতে হইত। অসুখে ভুগিয়াও এখানে তঁহকে,ক্ষুনেক লোকের সহিত বকিতে হইত। ইহাতে আহারাদির জুনিয়ম হইতে লাগিল। গুৰুভ্ৰাতা ও শিষ্যেরা এইজন্য আগন্তুকদিগের জন্য একটা সময় নির্দিষ্ট করিবার জন্য স্বামিজীকে বলিয়াছিলেন। কিন্তু যে হৃদয় চিরদিন পরের জন্য উন্মুক্ত-তাহাতে নিয়ম কানুনের বঁাধন সহিবে কেন ? তিনি উত্তর দিলেন ‘এরা আমায় দেখিবার জন্য কি দুটাে কথা শোনার জন্য কতদূর