পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগ বৃদ্ধিt যোগিতা, বা “যৌননিৰ্বাচন’ অপেক্ষ পতঞ্জলির মতে “প্ৰকৃত্য পূর্ণাৎ যে “জাত্যন্তর পরিণামের? কারণ বলিয়া উল্লিখিত হইযাছে তাহা সব্বাংশে শ্ৰেষ্ঠতর। অনেক তর্ক বিতর্কের পর রামব্ৰহ্ম বাবু স্বামিজীব্ৰ কথার সারবত্ত স্বীকার করিলেন ও বলিলেন, “যদি আপনাব মত প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় বিদ্যায় অভিজ্ঞ লোক এইভাবে আমাদের শিক্ষিত সমাজের প্রম অপাঠ নোদন কবেন তবে দেশের বড় উপকার হয়।” ঐ দিন সন্ধ্যা বেলা শরৎ বাবুর ও অন্যান্য কযেকজনের অনুরোধে বলরাম বাবুর বাটীতে স্বামিজী রাত্ৰি বারোটা পৰ্য্যস্ত ডারউইনের Evolution Theoryর ( অভিব্যক্তিবাদ ) ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন। তােহাৱা স্থূলমৰ্ম্ম এই যে পশু ও প্রাণীজগতের কতকাদূর পর্যন্ত উইনের Thoery খাটে, কিন্তু মানবজগতে ( যেখানে বুদ্ধিবৃত্তি পরিচালনা ও স্বাধীন চিন্তার স্থান আছে }} উতা খাটে Twዘ আমাদের দেশের সাধু ও আদর্শচরিত্র ব্যক্তিদিগের মধ্যে প্রতিযোগিতার নামগন্ধও নাই বা অপরকে বিনাশ করিয়া নিজে বড়। হইবার প্রবৃত্তি নাই। বরং সেখানে আত্মত্যাগষ্ট দেখা যায! { যে যত নিজেকে বলি দিতে পারে সেই বেশী বড় হয়। একজন { প্রশ্ন করিলেন “তবে আপনি আমাদিগকে শারীরিক উন্নতিবি চেষ্টা করিতে বলেন কেন ?” আহত সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া স্বামিৰ্জী বলিলেন“তোরা কি আবার মানুষ ? পশুর চেয়ে তোরা শ্রেষ্ঠ কিসে? শুধু আহার, নিদ্রা, ভয় আর বংশবৃদ্ধি এই নিয়ে আছিল। যদি একটু বুদ্ধিবৃত্তি না থাকতো। তবে এতদিন চতুষ্পদে পরিণত br。 t