পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। মনে করিতেন, বিশেষতঃ আহারাদি সম্বন্ধে। ১৬ই ডিসেম্বর বৈদ্যনাথ যাইবার পূৰ্ব্বে তিনি মঠে অনেকক্ষণ ধরিয়া এ বিষয়ের আলোচনা করেন এবং আহারাদি বিষয়ে নবীন সন্ন্যাসীদিগকে বিশেষ ভাবে উপদেশ দিয়া বলেন যে রাত্ৰিতে অল্প ভোজন ভাল। আহারের সহিত মনের যে কতদূর ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ তাহা বুঝাইবার জন্য তিনি বলিয়াছিলেন—“আহার'সংযম ব্যতীত চিত্তসংযম অসম্ভব। অতি ভোজন থেকে অনেক অনর্থ হয়। ওতে শরীর ও মন দুই জাহান্নামে যায়। তা ছাড়া প্ৰথম অবস্থায় হিন্দু ব্যতীত অন্য জাতির স্মৃষ্টি অন্ন খাওয়া বিস্ত্রকর। গোড়ামী ও সঙ্কীর্ণত ভাল নয় বটে, তবে প্ৰথম প্রথম নিষ্ঠাবান হওয়া খুব ভাল এবং দৃঢ়ভাবে ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন করা দরকার। তার পর যা খুন্সী কর। ইচ্ছা করিলে পুরো সন্ন্যাস গ্ৰহণ করতে পার, আবার মঠ ছেড়ে চলে যেতেও পারে। তবে একথাটা স্কুলোনা যে যখন দেখবে সন্ন্যাস-আদর্শ থেকে পিছিয়ে পড়ছ, এ কঠোর জীবনের পক্ষে তুমি অনুপযুক্ত, তখন গাৰ্হস্থ্য আশ্রমে প্ৰবেশ করা বরং ভাল, কিন্তু সন্ন্যাসাশ্রম কলুষিত করা অনুচিত। সকালে উঠবে, ধ্যানজপ করবে। আর খুব তপস্যা লাগবে, স্বাস্থ্যু আর সময়মত খাওয়া দাওয়ার উপর খুব নজর রাখবে। আর কথাবাৰ্ত্ত কহিবে শুধু ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে। শিক্ষাবস্থায় এমন কি খবরের কাগজ পড়া বা গৃহস্থদের সঙ্গে মেশাও ভাল নয়।” এ বিষয়ে মে মাসে একদিন তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলিয়া۔ ہ}UTeچf is 8