পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মব্রিতের দীক্ষাদান । “মঠের ব্যাপারে গৃহস্থদের কোন কর্তৃত্ব চলবে না। সন্ন্যাসীরাও টাকাওলা লোকের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখবে না। গরীবদের সঙ্গেই তাদের কারবার। গরীবদেরই যত্ন কৰ্ব্বে, ভালবাসবে ও যথাসাধ্য সেবা কৰ্ব্বে । এদেশের প্রত্যেক মঠ ও সন্ন্যাসীসম্প্রদায় বড় মানুষের দাসত্ব করাতে ও তাদের দয়ার উপর নির্ভর করাতেই উচ্ছন্ন গেছে। প্ৰকৃত সন্ন্যাসী তাদের ত্ৰিসীমানায় যাবে। না। ও তা বেশ্যাবৃত্তি । কামকাঞ্চনের দাস, যারা, তারা কি করে কাম-কাঞ্চন ত্যাগীর প্রকৃত শিষ্য হ’তে পারে ?” বৈদ্যনাথ হইতে ফিরিয়া আসিয়া অল্পবয়স্ক শিষ্যদের জন্য তিনি কতকগুলি নিয়ম প্ৰণয়ন করিয়াছিলেন, সেগুলির উদ্দেশ্য-যাহাতে তাহদের মনে সংসারীর বিন্দুমাত্র ছায়াও না পড়ে। যতই আলাপ পরিচয় থাক, গৃহস্থের পক্ষে সাধুর বিছানায় শয়ন বা উপবেশন বা তঁহাদের সহিত একত্র ভোজন করা নিষিদ্ধ হইয়াছিল। মঠের অল্পবয়স্ক যুবকগণের পক্ষে এমন কি শ্ৰীশ্ৰীমঠাকুরাণীর সেবার জন্যও তঁহার কলিকাতার আশ্রমে থাকা নিষেধ ছিল, কারণ শ্ৰীশ্ৰীমঠাকুরাণী সকলের নিকট অতিশয় পূজনীয় হইলেও ইষ্ট আশ্রমে অন্যান্য অনেক স্ত্রীভক্ত র্তাহার আশ্রয়ে বাস করিতেন বা সদসৰ্ব্বদা তাহার নিকট উপদেশাদি। লাইতে আসিতেন । কাশ্মীর হইতে ফিরিয়া একটি নিষ্কলঙ্ক চরিত্র যুবক সন্ন্যাসীকে ঐ আশ্রমের তত্ত্ববধান কাৰ্য্যে নিযুক্ত দেপিয়া স্বামিজী ভৎসনা করিয়াছিলেন। এবং তৎক্ষণাৎ তাহার স্থলে একজন প্ৰাচীন। অথচ কৰ্ম্মঠ শিষ্যকে নিযুক্ত করিবার আদেশ দিয়াছিলেন। S