পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার সমুদ্রযাত্ৰা । যাত্রার প্রারম্ভে প্রথমদিন অপরাঙ্কে আমরা গঙ্গাবক্ষে বসিয়া গল্প করিতেছি এমন সময়ে স্বামিজী সহসা বলিয়া উঠিলেন “দেখ, বয়স যত বাড়িতেছে, ততই আমি স্পষ্ট উপলব্ধি করিতেছি মনুষ্যত্বের বিকাশই এ জীবনের সর্বশ্লেষ্ট সাধনা । এই অভিনব বাৰ্ত্তাই আমি জগৎকে শুনাইতে আসিযাছি । যদি অসৎ কৰ্ম্ম কর, তবে তাহাও মানুষের মত কর। যদি দুষ্টই হইতে হয তবে একটা বড় গোছের দুষ্ট হও ” এই প্রসঙ্গে আমার আর একদিনকার কথা মনে পড়িতেছে, যেদিন আমি স্বামিজীকে ভাবতেব অপরাপীব সংখ্যা অল্প বলিযা উল্লেখ করায় তিনি সখেদে কহ্যিাছিলেন ‘হা ভগবান! এরূপ না হইয়া যদি ইহার বিপরীত হইত। কারণ এই যে আপাতদৃষ্ট ধৰ্ম্মভাব বা অপরাধের অল্পত এটা মৃত্যুর লক্ষণ ।” শিবরাত্রি হইতে আরম্ভ করিয়া বুদ্ধ যশোধরা, বিক্ৰমাদিত্যেব বিচার-সিংহাসন, পৃথুিরাজ প্ৰভৃতি শত সহস্র ভারতীয় কাহিনী দিবারাত্ৰই আলোচিত হইত। আর বিশেষত্ব এইটুকু ষে কোন জিনিষ দুইবার বলিতেন না। সবই নূতন-জাতিতত্ত্বের কথা, পুরাতন ভাবের পুনরুক্তি ও সমালোচনা, অতীত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ কৰ্ম্মের কথা, এবং সর্বোপরি মানবজাতির মানবত্বের সমর্থন-যে মানবত্ব কখনও একেবারে অন্তহিত বা ক্ষীণবীৰ্য্য হয় নাই-যাহ সর্বদিন সৰ্ব্বকাল পতিতের উদ্ধার ও দুৰ্ব্বলকে সবলের অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার জন্য সিংহবিক্রমে মহিমার উচ্চ হইতে উচ্চতর সোপানে অধিরূঢ় হইয়াছে-সবই নূতন। আচাৰ্য্যদেব আসিয়াছিলেন ও চলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু আমাদিগের স্থতির soc