পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গে ও আসামে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা পাপক্ষয়ের জন্য স্নান করিতে আইসে। এই মেলায় বিস্তর লোক সমাগম হইয়াছিল। যাত্ৰিগণের নৌকা হইতে অবিরাম আনন্দসূচক হুলুধ্বনি উখিত হইতেছে-- কোথাও বা হরিনামের মধুর ধ্বনি কর্ণকুহর পবিত্র করিতেছে। স্বানাস্তে স্বামিজী ব্ৰহ্মপুত্র হইতে ধলেশ্বরী-তথা হইতে বুড়ীগঙ্গা হইষা ঢাকা সহবে পুনঃ প্ৰবেশ কবিলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে স্বামিজীর নিকট সদসৰ্ব্বদাই বহু ভদ্রলোক যাতায়াত কবিতেন। বিশেষতঃ অপরাত্নে দুই তিন ঘণ্টা কেবল জ্ঞান, ভক্তি, বিশ্বাস, বিবেক, বৈরাগ্য, কৰ্ম্ম প্রভৃতি আধ্যাত্মিক বিষয্যের আলোচনা হইত এবং প্রায় শতাধিক লোক প্রত্যহ প্ৰাণ ভবিষ্যা তাহার তেজঃপূর্ণ উপদেশাবলী শ্রবণ কবিতেন । ঢাকার শিক্ষিতসমাজের অত্যন্ত অনুৰোধে ৩০শে মার্চ তারিখে তিনি জগন্মাথ কলেজে প্ৰাষ দুই সহস্ৰ শোতার সমক্ষে ‘আমি কি শিখিযাছি ? এই সম্বন্ধে এক ঘণ্টা ধরিয়া এক ইংরাজী বক্তৃতা প্ৰদান করেন। স্থানীয় বিখ্যাত উকীল বাবু রমাকান্ত নন্দী মহাশষ সভাপতি হইয়াছিলেন। পরদিন আবার পোগোজ স্কুলেল বিস্তৃত খোলা মযদানে প্ৰায় তিন সহস্ৰ শ্রোতার সমক্ষে “আমাদের জন্মপ্ৰাপ্ত ধৰ্ম্ম” ( The Religion we are born in) বিষয়ে দুই ঘণ্টাকাল ব্যাপী এক বক্তৃতা করেন। ইহাও ইংরাজীতে প্রদত্ত হয়। এই উভয় বক্তৃতায় শত শত ঢাকাবাসী মন্ত্ৰমুগ্ধবৎ তৎপ্রতি আকৃষ্ট হইয়া তাহার প্রচারিত বাণীর গুঢ়লক্ষ্য অনুধাবনে যত্নবান হইয়াছিলেন। প্রথম বক্তৃতায় o