পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গে ও আসামে। না, আমি চাই ঈশ্বরকে, আমি চাই আত্মাকে-চাই জগৎকে ছাড়িয়া, সুখ দুঃখকে ছাড়িয়া উহার অতীত প্রদেশে যাইতেযাহারা বলেন, বিশ্বাস সহকারে গঙ্গাস্নানে মুক্তি হয়-যাহারা বলেন, শিব রাম প্রভৃতি যাহার প্রতিই হউক না কেন, ঈশ্বর বুদ্ধি করিয়া উপাসনা করিলে মুক্তি হইয়া থাকে, আমি সেই প্ৰাচীন সম্প্রদায় ভুক্ত। ৯ * * * এই প্ৰাচীন সম্প্রদায়ের নিকট আমি কি শিখিয়াছি ? শিখিয়াছি “দুর্লভং এয়ামেবৈতৎ দেবানুগ্রহ হেতুকং। মনুষ্যত্বং মুমুক্ষত্বেং মহাপুরুষ সংশ্রয়ঃ ” প্ৰথম চাই মনুষ্যত্ব-এই মনুষ্য জন্মলাভ। তারপর চাই মুমুক্ষত্বে মোক্ষের জন্য—এই সুখ দুঃখ হইতে বাহির হইবার জন্য প্ৰবল আগ্ৰহ, সংসারের প্রতি প্ৰবল বৈরাগ্য। তারপর মহাপুৰূষ সংশ্রয়া-গুরু"লাভ'। মুমুক্ষতা থাকিলেও কিছু হইবে না-গুৰুকরণ আবশ্যক। কাহাকে গুরু করিব ?-- “শ্রোত্রিয়োহাবুজিনোহকাম্যহত যে ব্ৰহ্মবিত্তমঃ” * * তারপর চাই অভ্যাস। ব্যাকুলই হও, আর গুরুই লাভ কর, অভ্যাস না করিলে, সাধন না করিলে কখন উপলব্ধি হইতে পারে না।”- ইত্যাদি। দ্বিতীয় বক্তৃতায় তিনি প্ৰথমে প্রাচীনকালে এদেশে যে আধ্যাত্মিক উন্নতি হইয়াছিল। তাহার উল্লেখ করিয়া বলেন। “কিন্তু শুধু প্ৰাচীনকালের কথা স্মরণ করিয়া নিশ্চেষ্টািড়াবে বসিয়া থাকিলে চলিবেনা। তখন যেরূপ ঋষি মুনি ছিলেন। আমাদিগকেও তন্ত্ররূপ হইতে হইবে। এই ঋষিত্বে সকলেরই ܕ ܬ ܘ ܬ