পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গে ও আসামে । উপস্থিত হইল। স্বামিজী তখন ভিতরের ঘরে ছিলেন। বাড়ীয় কর্তা যতীনবাবু ও স্বামিজীর শিষ্যগণ প্ৰথমে ইতঃস্ততঃ করিতে লাগিলেন। কিন্তু স্বামিজীর নিকট সংবাদ প্রেরণ করিবামাত্র তিনি তৎক্ষণাৎ তাহাদিগকে স্বীয় সকাশে আনয়ন করিবার অনুমতি প্ৰদান করিলেন। তাহারা তাহাকে প্ৰণাম করিয়া উপবিষ্ট হইলে, উক্ত বারনারী স্বামিজীকে নিবেদন করিল যে তাহার হাঁপানীর পীড়া আছে, গৈ পীড়ার যন্ত্রণা হইতে পরিত্ৰাণলাভের জন্য সে ঔষধ ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে। স্বামিজী সহানুভূতি প্ৰকাশ করিয়া স্নেহককণাদ্র কণ্ঠে কহিলেন । এই দেখা মা ! আমি নিজেই ছাপানীর যন্ত্রণায় অস্থির, কিছুই করিতে পারিতেছিনা । যদি ব্যাধি আরোগ্য করিবার ক্ষমতা আমার থাকিত তাহ’লে কি আর এরূপ দশা হয় ? তাহায় বেদনামাখা কথা কয়টিী সকলেরই হৃদয়ে স্পৰ্শ করিল, স্ত্রীলোক দুইটী ক্ষণকাল অবস্থান করিযী। তাহার আশীৰ্ব্বাদ গ্ৰহণাস্তুে প্ৰস্থান করিল। ইহার কিছুদিন পরে শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের ভাববন্যায় ঢাকাসহর প্লাবিত করিষা স্বামিজী মহাপীঠ কামাখ্যা ও চন্দ্ৰনাথ তীর্থ দর্শনে গমন করিলেন । তথা হইতে ফিরিয়া কয়েকদিনের জন্য গোয়ালাপাড়া ও গৌহাটিতে বিশ্রাম করিলেন। গৌহাটিতে তিনি তিনটি বক্তৃতা দিয়াছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার কোনটাই লিপিবদ্ধ হয় নাই । ঢাকা ও কামাখ্যায় স্বামিজীর শরীরের অবস্থা উত্তারোস্তুর আরও খারাপ হইল। গৌহাটিতে অত্যন্ত অসুস্থত। বোধ করাতে সকলেই চিন্তিত হইয়া পড়িলেন। ওখানে হইতে 3 e Ry