পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । শিলং ৩৬ মাইল এবং - সেখানকার জলবায়ুও স্বাস্থ্যকর। সুতরাং শিলং যাওয়াই স্থির হইল। ভারতহিতৈষী সুবিখ্যাত সু্যার হেনরী কটন তখন আসামের চীফ কমিশনার। স্বামিজীর নাম শুনিয়া তাহার অনেকদিন হইতেই তেঁাহাকে দেখিবার ইচ্ছা ছিল । এক্ষণে স্বামিজী শিলংএ গমন করাতে র্তাহার ঐ ইচ্ছা পূর্ণ হইবার সুযোগ হইল। তিনি স্বামিজীর আবাসে উপস্থিত হইয় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করিলেন “স্বামিজী । ইউরোপ আমেরিকায় বেড়িয়ে এই জঙ্গলী জায়গায় কি দেখতে এসেছেন? আর এখানেই বা আপনার মৰ্য্যাদা বুঝবে কে ?” কটন সাহেবের সহিত স্বামিজীর প্রায় আলাপ হইত। স্বামিজীর অসুখের কথা শুনিয়া এই সদাশয় মহাপুরুষ স্থানীম সিবিল-সার্জনকে তাহার নিকট পঠাইয়া দিয়াছিলেন এবং স্বয়ং প্রত্যহ দুইবেল তঁহার সংবাদ লইতেন স্বামিজীও কটনসাহেবের সম্বন্ধে উচ্চধারণা পোষণ করিতেন। বলিতেন ‘এই একটি লোক যিনি ভারতের অভাব অভিযোগ ঠিক ঠিক বুঝিয়াছেন এবং প্রকৃতই এদেশের কল্যাণ কামনা করেন।” কটন সাহেবের অনুরোধে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও স্বামিজী শিলং-এর ইউরোপীয় অধিবাসীবৃন্দ ও দেশীয় শিক্ষিত ভদ্রলোকগণের সমক্ষে একদিন একটি বক্তৃতা দিয়াছিলেন। সকলেই এই বক্তৃতা শ্ৰবণ করিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন। উহাতে ভারতীয় সভ্যতা ও আদর্শের অতি সুন্দর বর্ণনা ও ব্যাখ্যা প্রদত্ত हद्देशांछिेश। 8.