পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । প্ৰদান করিলেন। বলিলেন, “কৃপা মানে কি জানিস? যিনি আত্মসাক্ষাৎকার করেছেন, তার ভিতরে একটা মহাশক্তি খেলে। Gfs centre (FSF) FC কিয়দুর পর্যন্ত radius if( ব্যাসাৰ্দ্ধ) লয়ে যে একটা circle ( বৃত্ত) হয়, সেই circle এর ভিতর যারা এসে পড়ে, তারা ঐ আত্মবিৎ সাধুর ভাবে অনুপ্রাণিত হয়, অর্থাৎ ঐ সাধুর ভাবে তারা অভিভূত হ’য়ে পড়ে। সুতরাং সাধন ভজন না ক’রেও তারা অপূৰ্ব আধ্যাত্মিক ফলের অধিবাসী হয। একে যদি কৃপা বলিস ত বল।” শরৎবাবু তথাপি নাছোড়বান্দা । পুনরপি জিজ্ঞাসা করিলেন “এ ছাড়া আর কোনরূপ কৃপা কি নাই ? স্বামিজী বলিলেন তাও আছে। যখন অবতার আসেন, তখন তঁর সঙ্গে সঙ্গে মুক্ত, মুমুক্ষ্ম পুরুষেরা সব তঁার লীলার সহায়তা কাৰ্ব্বতে শরীর ধারণ করে আসে। কোটি জন্মের অন্ধকার কেটে একজন্মে মুক্ত করে দেওয়া, কেবলমাত্র অবতারেরাই পারেন। এরই মানে কৃপা বুঝলি ?” তবে যাহাঁদের অদৃষ্ট অবতারের দর্শন বা সঙ্গতলাভ ঘটে না তঁহাদের সম্বন্ধে বলিলেন “তাদের উপায় হচ্ছে-তঁাকে ডাকা । ডেকে ডেকে অনেকে তঁর দেখা পায়-ঠিক এমনি আমাদের মত শরীর দেখতে পায় ও তঁর কৃপা হয়।” এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে এমন সময়ে স্বামী নিরঞ্জনানন্দ সংবাদ দিলেন ভগ্নী নিবেদিতা ও অপর কয়েকটি ইংরাজ মহিলা তাহার দর্শনার্থ দ্বারে দণ্ডায়মান। স্বামিজী শরৎবাবুকে তাহার আলখেল্লাটা দিতে বলিলেন এবং তাহ প্ৰদত্ত হইলে সৰ্ব্বাঙ্গ e o