পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন প্ৰান্তে । আচ্ছাদিত কািরয়া সভ্য ভব্যের ন্যায় পাশ্চাত্য শিষ্যদিগের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। শরৎবাবু দ্বার খুলিয়া দিলে নিবেদিতা ও অপর ইংরাজ মহিলারা প্ৰবেশ করিয়া স্বামিজীর ন্যায় মেজেতেই বসিলেন এবং তঁাহার দৈহিক কুশল প্রশ্নাদি জিজ্ঞাসা ও সামান্য দুই চারিটা কথা বলিয়াই প্ৰস্থান করিলেন। স্বামিজী বলিলেন “দেখছিস এর কেমন সভ্যতা জানে! শরীরের অবস্থা দেখে বুঝলে--বেশী বিরক্ত করা ভাল নয়, অমনি চলে গেল । বাঙ্গালী হলে আমার অসুখ দেখেও অন্ততঃ আধঘণ্টা বাকাত।” বেলা আন্দাজ আড়াইটার সময় চতুদিকে উৎসব কোলাহলের মহাশব্দ শুনা যাইতে লাগিল। মঠের জমির কোথাও তিলধারণের স্থান নাহঁ । কীৰ্ত্তনের রোলে গগন প্লাবিত। প্ৰসাদ বিতরণেরও বিশ্ৰাম নাই-আবিরত চলিতেছে প্ৰায় ত্রিশ হাজার লোক সমাগত। স্বামিজ দশমিনিটের জন্য শরৎবায়ুকে নীচে গিয়া উৎসব দেখিবায় অবকাশ প্ৰদান করিলেন। অপরাঙ্কে ভিড় ক্ৰমশঃ কমিয়া আসিল । স্বামিজীর ঘরের দোর জানালা সব খুলিয়া দেওয়া হইল। কিন্তু কাহাকেও তাঁর্তাহার নিকটে যাইতে দেওয়া হইল না । 崇 粥 粥 歌 এইভাবে ১৯০২ সালের মাৰ্চ মাস অতীত হইল। ইহার পর-স্বামিজী আর তিনমাস কাল মাত্ৰ দেহধারণ করিয়াছিলেন। এই তিনমাস এবং ব্যাধির সূত্ৰপাত অবধি বরাবরই শারীরিক কষ্ট এবং অবসাদ সত্বেও স্বামিজী নানা প্ৰকার কাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিতেন, পূর্বে এ কথার কিঞ্চিৎ উল্লেখ করিয়াছি। እ o ዓ Sኔ