পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । বীচিসিদ্ধ, আর একটু ঠাণ্ড দুধ । স্বামিজী তাহাই লইয়া হাস্য পরিহাস করিতে করিতে সকলকে আহার করাইলেন এবং আহারান্তে সকলের হাতে জল ঢালিয়া দিয়া নিজ হাতে গামছা লইয়া তাহদের হাতমুখ মুছাইতে লাগিলেন। তঁহাকে ঐঝাপ ১ করিতে দেখিয়া একজন বলিলেন “স্বামিজী ওকি করিতেছেন। আপনি আমাদের সেবা করিবেন, না। আমরা আপনাব সেবা করিব।” স্বামিজী মধুর হাসিয়া ঈষৎ গাম্ভীৰ্য্যের সহিত বলিলেন “ত হোক। র্যীশুখৃষ্ট কি ক’রেছিলেন ? নিজের শিষ্যদের পা ধোয়াইয়া দেন নাই ?” শিষ্য। চমকিত হইযা গেলেন। হঠাৎ যেন মুখ দিয়া বাহির হইতে যাইতেছিল ‘কিন্তু সে যে অন্তিম সময়।” কিন্তু তিনি তৎক্ষণাৎ সামলাইয়া গেলেন । শেষ কয়দিন স্বামিজীর শরীরে কোন অসুখ ছিলনা। যেন একখানি যোগময় তনু অন্তরস্থ উজ্জ্বল আত্মাকে আবরণ করিয়াছিল মাত্র । কিন্তু সে সূক্ষ্ম আবরণ ভেদ করিয়া ভিতরকার আলোকপ্ৰবাহ ফুটীয়া বাহির হইত। বোধ হয় অনন্ত জ্যোতির প্রবেশদ্বারে উপস্থিত হওয়াতেই তেঁাহার দেহ হইতে আমন প্ৰভা বিকীর্ণ হইত। কিন্তু কেহই বুঝিতে পারে নাই তাহার শেষ দিন এত নিকটে । ” এখন মনে হয, এমন কি মহাসমাধির দিনও তেঁাহার ব্যবহার ও কাৰ্যকলাপ বিশেষ অর্থসূচক ছিল। সে দিন প্ৰাতে চা খাইতে খাইতে গুরুভ্রাতাদিগের সহিত বসিয়া অতীত দিনের অনেক আলোচনা ও গল্প করিয়াছিলেন এবং তৎপর দিবস শনিবার ও অমাবস্যা থাকায় ঐ দিন রাত্রে ৬/কালীপূজা করিবার اسمه "