পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাপ্ৰস্থানের পূর্বাভাস। ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। কিঞ্চিৎ পরেই স্বামী রামকৃষ্ণনন্দের পিতা কালীমাতার পরমভক্ত ও সাধক শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আসিয়া উপস্থিত হওযায় স্বামিজী সানন্দে চীৎকার করিয়া বলিলেন “এই যে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ও আসিয়াছেন ৷” এবং তৎক্ষণাৎ শুদ্ধানন্দ ও বোধ্যানন্দ স্বামীকে পূজার সমস্ত আযোজন ও দ্রব্যাদি সংগ্ৰহ করিতে বলিলেন । তঁহারাও ত্বরাদ্য ঈ কার্ম্যে প্ৰবৃত্ত হইলেন। তদনন্তর স্বামিজী ঠাকুরঘয়ে প্ৰবেশ করিয়া বেলা ৮টা হইতে প্ৰায় তিন ঘণ্টা অর্থাৎ ১১টা পৰ্য্যন্ত নির্জনধ্যানে মগ্ন ছিলেন। কিন্তু ঐ দিনকার একটি বিশেষ ঘটনা এই যে, তিনি ঠাকুরঘরের সমস্ত জানালা দরজা বন্ধ করিয়া ধ্যান করিতে বসিয়াছিলেন । সাধারণতঃ কখনও ঈর”। করিতেন না। কেবল সেই দিনই করিয়াছিলেন। ধ্যানের পর ‘কে বলে তারিণী তোমায় তিমির বরণী ?” এই গানটি গাহিতে গাহিতে ঠাকুরঘর হঠাতে নামিয়া আসিয়া প্ৰাঙ্গণে পাদচারণা করিতে লাগিলেন। স্বামী প্ৰেমানন্দ তাহাকে অস্ফুটম্বরে বলিতে শুনিলেন “যদি আর একটা বিবেকানন্দ থাকতো তবে বুঝতে পারত বিবেকানন্দ কি ক’রে গেল। কালে কিন্তু এমন শত শত বিবেকানন্দ জন্মাবে।” খুব উচ্চ ভাবাবস্থার প্রেরণার হৃদয়ম্বার স্বতঃ উদঘাটিত না হইলে তিনি প্ৰায় কখনই নিজের সম্বন্ধে এ রকম কথা বলিতেন না । সুতরাং একথা শ্রবণে স্বামী প্ৰেমানন্দ একটু বিচলিত হইলেন। তাহার পর স্বামিজী শুদ্ধানন্দ স্বামীকে মঠের লাইব্রেরী হইতে শুক্লযজুৰ্ব্বেদ গ্ৰন্থ আনিতে আদেশ করিলেন এবং উহা or