পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8V স্বামী বিবেকানন্দ > थ७ হইয়া পড়িলেন। স্বামীজি বলিতেন, তখন র্তাহার অনুভব হইতে লাগিল যেন পরমহংসদেবের শরীর হইতে তড়িৎ-কম্পনের মত একটা সুক্ষ্ম তেজঃরশ্মি তাহার শরীর মধ্যে প্ৰবেশ করিতেছে। ক্রমে তিনিও বাহ্যজ্ঞান হারাইলেন । কতক্ষণ। এইভাবে ছিলেন তাহা তাহার মনে ছিল না। বাহ-চেতনা হইলে দেখিলেন, . পরমহংসদেব অশ্রু ত্যাগ করিতেছেন । তিনি অতিশয় চমৎকৃত হইয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিলে পরমহংসদেব সস্নেহে বলিলেন ‘আজ যথাসৰ্ব্বস্ব তোকে দিয়ে ফকীর হলুম! তুই এই শক্তিতে জগতের অনেক কাজ কবি। কাজ শেষ হ’লে পর ফিরে যাবি।” নরেন্দ্ৰও কঁদিতে লাগিলেন। অন্তর ভাবপূর্ণ হওয়ায় তঁহার ঘাঙ নিস্পত্তি হইতেছিল না । তিনি বালকের ন্যায় অধীর হইয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । লীলাবসানের দুই দিন পূৰ্ব্বে শ্ৰীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে.আপনি সকাশে আহবান করিয়া এইরূপ বলিয়াছিলেন, “দেখ নরেন, তোর হাতে এদের সকলকে দিয়ে যাচ্ছি। কারণ তুই সব চেয়ে বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী। এদের খুব ভালবেসে, যাতে আর ঘরে ফিরে না গিয়ে একস্থানে থেকে খুব সাধন-ভজনে মন দেয় তার ব্যবস্থা কবৃবি।” নরেন্দ্ৰ চুপ করিয়া রহিলেন, তাহার মুখ দিয়া একটিও বাক্য ; নির্গত হইল না। শুধু ভাবিতে লাগিলেন—সত্যই কি প্রভুর শেষ দিন আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে ? হায় হয়, এতদিনে সব শেষ হইতে চলিল। ঐ রূপ একদিন পরমহংসদেব এক টুকরা কাগজে লিখিয়া দিয়াছিলেন, “নরেন লোক শিক্ষা দিবে।” কিন্তু নরেন্দ্র; এই আদেশ পালন করিতে সমর্থ হইবেন কিনা ভাবিয়া ইতস্ততঃ করিয়া বলিয়াছিলেন, “আমি পারবাে না।” তাহাতে "পরমহংসদেব জোর করিয়া বলিয়াছিলেন, “কত্তেই হবে, তোর ঘাড় ক’বৃবে।” ইিঞ্জ অতিলৌকিক বিষয়ে নরেন্দ্রের এত অধিক সন্দেহ এবং ঐ সকল পরীক্ষা