পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাহনগর মঠ প্ৰতিষ্ঠা »९१ ।। লাইয়া যাইবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেন। তাহারা কখনও কাকুতিমিনতি ও ক্ৰন্দনাদি করিতেন, কখনও বা ভয় দেখাইতেন ও শাসাইতেন এবং সকল দোষ নরেন্দ্রের স্কন্ধে চাপাইয়া বলিতেন--“এই ছোড়া হচ্ছে যত নষ্টের গুড় । এরা সবাই বাড়ী গিয়ে দিব্যি পড়াশুনো করছিল, এ-ই। ওদের টেনে-হিচূড়ে এখানে নিয়ে এলো, আর যত ফু-পরামর্শ দিতে লাগুলো ! এরূপ অভিযোগ শুনিয়া নরেন্দ্র ও অপরাপর नाँनौब्र হাস্যসম্বরণ কুরিতে পারিতেন না এবং নানা প্রকারে বুঝাইয়া তাঁহাদের মনঃক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করিতেন। কিন্তু তাঁহাতেও কর্ণপাঞ্ছনা । করিলে শেষে বলিতেন, “আমরা গৃহ ত্যুগ করিয়া ཅifཤིgifརྙེག་གི་ ফিরিয়া যাওয়া অসম্ভব।” শশীর পিতা ধখন্ধুসুশীকে গৃহে ফিরিবার জন্য : বিশেষ জেদ করিতে লাগিলেন তখন তিনি বলিয়াছিলেন, যে একবার । সংসার ছেড়ে এসেছে, তার কাছে সংসার বাঘের বাস।” অগত্য অভিভাবকেরা তাঁহাদের চিত্তের দৃঢ়তা ও অটল অধ্যবসায়দর্শনে তীহাদের গৃহপ্ৰত্যাগমন বিষয়ে একরূপ নিরাশ হইয়া ঐন্নপ চেষ্টা ত্যাগ করিলেন। * * - খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮৯২ খৃষ্টােব্দ পৰ্যন্ত মঠ বরাহনগরে ૭ ઈર وامامزاده হইতে ১৯৯৭ পৰ্য্যন্ত দক্ষিণেশ্বরের সন্নিকটস্থ আলমবাজারে ছিল। সেখান হইতে কিছুদিনের জন্য বরাহনগরের অপর-পারে গঙ্গাতীররািন্ত্ৰী নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বাগানে উঠিয়া যায় ও পরিশেষে স্থায়ীভাবে বেলুড়ে মঠ-স্থাপনার পর হইতে এই সকল যুবকগণের মধ্যে প্রতিবন্ধন ও ভ্ৰাতৃভাব ক্ৰমশঃ দৃঢ়তাপ্রাপ্ত হইতে লাগিল এবং কঠোর অনলপরীক্ষার মধ্যে দিন দিন তাহাদিগের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ হইতে, লাগিল। . .: