পাতা:হাফেজ.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s१२ ] হে প্রভাতবিহঙ্গ, তুমি দাউদের সঙ্গীত গাইতে থাক, যেহেতু কুমুমরূপ রাজা সোলয়মান গগনমার্গ হইতে প্রত্যাগত হইয়াছেন * । লাল কুসুম সুমিষ্ট সুরার গন্ধ বসন্ত সমীরণের নিঃশ্বাসে আম্ৰাণ করিয়াছে, অন্তরে কালিমা আছে, সে ঔষধের আশায় প্রত্যাগত হইয়াছে । এরূপ স্থবিজ্ঞ কোথায় যে, সোসন কুসুমের কথা উপলব্ধি করে ? তাহ হইলে সে বলে যে, কেন চলিয়া গিয়াছিল ও কেন প্রত্যাগত হঠয়াছে । আমার ঈশ্বরপ্রদত্ত ভাগ্য পৌরুষকার ও করুণা প্রকাশ করিয়াছে, যেহেতু সেই পাষাণহৃদয় প্রতিমা প্রণয়ের পূর্ণতাসাধনে প্রত্যাগত হইয়াছে। আমার নয়ন সে পর্য্যন্ত এই প্রেমাম্পদের সহযাত্রিদলের উদ্দেশু্যে বহু প্রতীক্ষার ক্লেশ বহন করিয়াছে, যে পৰ্য্যন্ত আমার হৃদয়কৰ্ণে এক স্বৰ্গীয় ধ্বনি প্রত্যাগত হইয়াছে। যদিচ আমরা অঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়াছি ও হাফেজ অপবাদ করিয়াছে তথাপি,তাহার করুণা দেখ, তিনি সন্মিলন উদ্দেশুে দ্বারদেশ দিয়া প্রত্যাগত হইয়াছেন । ১৬৫ ৷ —£43—

  • গজলের এই কয়েকটি কবিতায় বসন্ত ঋতুর বর্ণনা হইয়াছে। পুষ্পপুঞ্জ শীত ঋতুতে অদৃশু ছিল, বসন্ত সমীরণের সঞ্চারে বিকশিত হইয়াছে, পক্ষী সকল নিশাস্তে গান করিতে লাগিল ইত্যাদি । কথিত আছে সোলয়মান দৈববলে আকাশ পথে বিচরণ করিতেন। এস্থলে পুষ্পকে সোলয়মানরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে।.