পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୯ort', श्लूिड्स ভুল। উহা প্রকৃত পুক্ষে নিষ্ঠুষ্ট’প্রকৃতিরই লক্ষণ। ইউরোপে আত্মসমত্ব নাই বলিয়াই তথায় ঐ সকল লক্ষণ দৃষ্ট হয়। পার্থিবতা বৃদ্ধি হইলে যখন আত্মসমত্বই নষ্ট হইয়া যায়, আপনাকেই যখন বৈষম্যময় "হইয়া উঠিতে হয়, তখন সামাজিক সমত্ব কেমন করিয়ু বাড়িবে এবং সামাজিক বৈষম্য কেমন করিয়া কমিত্ত্বে ফলতঃ পার্থিবতা, যেখানে প্রবল, সেখানে প্রত্যেক বৃক্তিও যেমন বৈষম্যময় ও সমত্বশূন্য সমস্ত সমাজও তেমনি বৈষম্যময় ও সমত্বশূন্য। কিন্তু আধ্যাত্মিকতা পার্থিবতাল উল্টা জিনিষ। আধ্যাত্মিকতা ব্ৰহ্মমুখী এবং পার্থিবতা হইতে বিমুখ। এক সমত্বময় ব্ৰহ্মপদাৰ্থ লইয়া আধ্যাত্মিকতা । অতএব যেখানে পার্থিবতার পরিহার এধৎ আধ্যাত্মিকতার আদর, সেখানে কি ব্যক্তিগত কি সমাজগত সকল প্ৰকার সমত্বের বৃদ্ধি এবং বৈষম্যের বিনাশ। পার্থিব পদাৰ্থ এবং অধিকার পরিত্যাগে এবং আধ্যাত্মিকতার বৃদ্ধিতে প্রকৃত সাম্য বা সমত্ব, এ কথা না বুঝিলে হিন্দু বর্ণভেদ প্ৰণালীতে যে প্রকৃত সমত্ব আছে তাহাও বুঝা যাইবে না। সংসার কাৰ্য্যে পার্থিব পদার্থ এবং অধিকারের সংস্রব এককালে পরিত্যাগ করা যায় না। তাই বৰ্ণভেদ প্ৰণালীতে ক্ষত্ৰিয়ে রাজকাৰ্য্য এবং রাজ্যরক্ষার ভার নির্দিষ্ট হইয়াছে, বৈশ্যে কৃষি ও বাণিজ্যের ভার নির্দিষ্ট হইয়াছে, এবং শূদ্রে সমাজের সেবার ভার নির্দিষ্ট হইয়াছে। কিন্তু মন্বাদি ঋষিদিগের প্রণীত মানবধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ বিশেষ বিবেচনার সহিত অধ্যয়ন করিলে পরিষ্কার বুঝিতে পারা যায় যে পার্থিব পদার্থ সম্পদ বা অধিকার দেওয়া বৰ্ণভেদ প্রণালীর উদ্দেশ্য নয়, পরিত্যাগ করানই উদ্দেশ্য। সমাজ রক্ষার্থ