পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L が> 」 ধর্মের ভাব তেমন নয়। হিন্দুধর্মের মুখ্য উপদেশ এই যে, যাহার যে ধৰ্ম্ম সে ব্যক্তি সেই ধৰ্ম্ম সৰ্ব্ব প্রকারে পালন করিলেই উদ্ধার হইবে । সকল হিন্দুরই এই বিশ্বাস। ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয়েরা যে মহিমুস্তৰ নিত্য পাঠ করেন, তাহাতে আছে। هrب & রচীনাং বৈচিত্র্যাদৃদ্ভুকুটিলনানাপথজুষাং মৃণামেকোগমায়ুমসি পয়সামগ্ৰইব। কচির ভেদামুসারে ঋজু কুটিল পথ দিয়া মনুষ্য সর্বশেষে তোমাকে লাভ করে, যেমন নদী সকল যে যেরূপ পথ দিয়া যাউক না কেন, শেষে সাগরে পিয়া মিলিত হয় । এরূপ ঔদার্য্যভাব আর কোন ধৰ্ম্মে পাওয়া যায় ? বর্ণাশ্রমাচারবিহীন লোকেরাও হিন্দুদিগের নিকট হিন্দু বলিয়া পরিগণিত হইত। বেদান্তসুত্রে আছে, “অন্তর। চাপিতু তদ্‌ষ্টে • • রৈক বাচকুবি প্রভৃতি বর্ণাশ্রমাচারবিহীন লোকেরাও ব্রহ্মজ্ঞানে অধিকারী ইহার প্রমাণ বেদে দৃষ্ট হয়।” কেবল যে বর্ণাশ্রম চারবিহীন হিন্দুরাই পরিত্রাণের অধিকারী, এমন নহে, কিরাত যবন প্রভৃতি অনাৰ্য্যজাতীয়ের। যাহারা আর্য্যদিগের প্রতি সৰ্ব্বদা বিদ্রোহীচরণ করিত এবং সৰ্ব্বদ। তাহাদের ধৰ্ম্মের বিস্ত্র উৎপাদন করিত, তাহাদিগকেও র্তাহার একেবারে ধৰ্ম্মাধিকারে বঞ্চিত অথবা ঈশ্বরের পরিত্যজ্য, এমন বিবেচনা করিতেন না। এক স্থানে এরূপ · স্পষ্ট উক্তি আছে,— - কিরাতহুনান্ধ পুলিন্দপুদ্ধসাআবীরকঙ্ক যবনাঃ থসাদয়ঃ । . যেনেচপাপাযদপ শ্ৰয়াশ্রয়াঃ শুদ্ধ্যন্তি তস্মৈ প্রভবিষ্ণৰুে নমঃ ॥ } শ্ৰীমদ্ভাগবত |