পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪২ हिसू स्वाहेप्र সম্পত্তি দান করিয়া যান যে, তাহার বংশীয় ব্যক্তিগণ পুত্রপৌত্রাদিক্রমে সেবাইত হইবে, এবং সম্পত্তির উপস্বত্বের সামান্ত অংশ ঠাকুরসেবায়ু ব্যয় হইয়া বাকী অধিকাংশই সেবাইতের ভরণপোষণনিৰ্ব্বাহের জন্য ব্যয় করা যাইবে, তাহা হইলে আদালত অনুমান করিবেন যে, ঐ ধৰ্ম্মার্থে সম্পত্তি দান একটা উপলক্ষ মাত্র ; ঐ সম্পত্তি যাহাতে হস্তান্তরিত না হয় এবং পাওনাদারগণ যাহাতে দেনার জন্য উহা ক্রোক করিতে না পারে এই উদ্দেশ্যেই ঐরুপ দান করা হইয়াছে। এরূপ ক্ষেত্রে ঐ সম্পত্তি মন্দিরের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে না, দাতার নিজের সম্পত্তি বলিয়াই গণ্য হইবে, তাহার মৃত্যুর পর তাহার ওয়ারিশে সাধারণ নিয়মানুসারে বৰ্ত্তিবে, এবং দেনার জন্য ক্রোক নিলামও হইতে পারিবে ; এবং সেই সঙ্গে ঠাকুরসেবার জন্য দাতা যে অংশ ব্যয় করিতে বলিয়াছেন তাহাও উক্ত কার্য্যে ব্যয় করিতে হইবে ( প্রমথ ব: রাধিকা, ১৪ বেঙ্গল ল রিপোর্ট ১৭৫) | উত্তরাধিকার । ধৰ্ম্মাথে প্রদত্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার সম্বন্ধে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নাই । যিনি সম্পত্তি দান করিয়া যান, তিনি নিজে নিয়ম করিয়া যাইতে পারেন যে, কাহারা ঐ সম্পত্তিতে পর পর সেবাহত হইবেন । অনেক স্থলে একজন সেবাইত, তাহার পরে কে সেবাই ত হইবেন তাহ আদেশ করিয়া যান। অনেক স্থলে প্রথানুসারে সেবাইত নিযুক্ত হইয়া থাকে ( ২২ কলিকাতা ৮৪৩ ) । যথা, তারকেশ্বরে এইরূপ প্রথা আছে যে, একজন মোহন্তের পর তাহার শিষ্য পরবত্তী মোহন্ত হইবেন । যেস্থলে উক্তরূপ প্রথা বা আদেশ না থাকে, সেস্থলে স্থাবর সম্পত্তিতে যে যে ব্যক্তিগণ পর পর উত্তরাধিকারী হন, সেই সেই ব্যক্তিগণ পর পর সেবাহত হইবেন ( ৮ কলিকাতা ল জার্ণল ৬৭০ ) ।