পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুতীক্ষ্ম অথ্যাঙ্ক । নাবালক ও অভিভাবক। সাবালক বিষয়ক আইনের (১৮৭৫ সালের ৯ আইন ) ৩ ধারায় এই বিধান আছে যে কোন ব্যক্তির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ হইলেই সে সাবালক বলিয়া গণ্য হইবে, তবে যদি তাহার সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে থাকে কিংবা আদালত কর্তৃক তাহার জন্য অভিভাবক নিযুক্ত হইয়া থাকে তাহা হইলে তাহার বয়স ২১ বৎসর পূর্ণ হইলে তবে সে সাবালক হইবে। কিন্তু উক্ত আইনের ২ ধারায় এই বিধান আছে যে, হিন্দু আইনের বিবাহ ও দত্তকগ্রহণ সম্বন্ধে কোনও বিধানের উপর সাবালক বিষয়ক আইন হস্তক্ষেপ করিবে না, অর্থাৎ বিবাহ ও দত্তকগ্রহণ এই দুই ব্যাপারে সাবালক হওয়ার বয়সসম্বন্ধে হিন্দুআইনের যে বিধান আছে, সেই বিধানই প্রবল থাকিবে, উহাতে সাবালক বিষয়ক আইন প্রযোজ্য হইবে না। বিবাহ ও দত্তকগ্রহণ বিষয়ে হিন্দু আইনের বিধান অনুসারে কোনও ব্যক্তির বয়স ১৫ বৎসর পূর্ণ হইলেই সে সাবালক বলিয়া গণ্য হয়। স্বতরাং ১৫ বৎসর পূর্ণ হইলেই কোন হিন্দু ব্যক্তি দত্তকগ্রহণ করিতে ক্ষমতাপন্ন হন, এবং বিবাহ সম্বন্ধে সাবালক হন, তখন আর র্তাহার অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন হয় না। এই স্বত্রে আর একটা কথা জানিয়া রাখা প্রয়োজন যে, কোনও বিধবা যদি স্বামীর অনুমতি অনুসারে দত্তকগ্রহণ করেন, তাহা হইলে তাহার বয়স ১৫ বৎসরের কম হইলেও তিনি ঐ কাৰ্য্য করিতে ক্ষমতৎপন্ন হইবেন ; কারণ তিনি তাহার স্বামীর