পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাবালক ও অভিভাবক \פאס জন্য এবং স্বামীর প্রতিনিধিস্বরূপে ঐ কাৰ্য্য করিতেছেন, স্বতরাং এস্থলে তাহার নিজের বয়স সম্বন্ধে কোনও প্রশ্ন উঠিবে না (মন্দাকিনী বঃ আদিনাথ, ১৮ কলিকাতা ৬৯ ) । কিন্তু দত্তকগ্রহণ ও বিবাহ ব্যতীত আর সমস্ত ব্যাপারেই উপরোক্ত সাবালক বিষয়ক আইনের বিধান প্রযোজ্য হইবে । কোন হিন্দু ব্যক্তির বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ না হইলে সে উইল করিতে বা কোনও সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে বা ধৰ্ম্মার্থে দান করিতে পারিবে না। উইল সম্বন্ধে অার একটী কথা জানিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য যে, ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক কোনও হিন্দু ব্যক্তি সম্পত্তি সম্বন্ধে উইল করিতে পারে না বটে, কিন্তু তাঙ্গার বয়স ১৫ বৎসর পূর্ণ হইয়া থাকিলে সে দত্তকগ্রহণ করিবার জন্য তাহার স্ত্রীকে উইল দ্বারা অনুমতি দিয়া যাইতে পারে । হিন্দু আইন অনুসারে নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ নাবালকের অভিভাবক হইবার জন্য পর পর ক্ষমতাপন্ন :– (১) পিতা । পিতাই নাবালক পুত্রের স্বাভাবিক অভিভাবক। পিতা ইচ্ছা করিলে নাবালক পুত্রের জন্য উইলদ্বারা অভিভাবক নিযুক্ত করিয়া যাইতে পারেন (৩১ বোম্বাই ৪১৩ ) । কিন্তু পিতা যদি নাবালক পুত্রকে দত্তকরূপে দান করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি অবশু আর ঐ পুত্রের অভিভাবক থাকিতে পারেন না ; দত্তক গ্রহীতা পিতামাতাই অভিভাবক হইবেন । জন্মদাতা পিতা অপেক্ষা দত্তকগ্রহীতা মাতাই অভিভাবকরূপে অগ্রগণ্য (গঙ্গাপ্রসাদ বঃ হরকান্ত, ১৫ কলি: উইকৃলিনোট ৫৫৮) । এমন কি, জন্মদাতা পিতা অপেক্ষ দত্তকগ্রহীতা পিতার মাতা জুগ্রগণ্য অভিভাবক বলিয়া স্থির হইয়াছে ( ৪ পাটনা ১০৯)। কিন্তু দত্তকগ্রহীতা পিতার বাঁ মাতার মৃত্যুর পর তাহাদের নিকটাত্মীয় না থাকিলে জন্মদাতা পিতাই পুনরায় ঐ বালকের অভিভাবক হইবেন ( ১৫ কলিকাতা উইকলি নোটস ৫৫৮)।