পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।

বা কি প্রকারে হইবে? বঙ্গাঙ্গনাগণ ত অঙ্গনাতিক্রম করিলেই কুলভ্রষ্ট হয়, তবে কি প্রকারে তাহারা স্বাধীনতা প্রাপ্ত হইবে?


বঙ্গদেশীয় অঙ্গনাদিগের স্বাধীনতা।

 হায়! কি ভ্রান্তিমূলক বাক্য, আমাদিগের বঙ্গদেশীয় মহাত্মাগণের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি বলেন; ‘‘অবলাগণকে বিদ্যাভ্যাস করাইলে, তাহারা আর অন্তঃপুররূপ পিঞ্জর বদ্ধ হইয়া থাকিতে ইচ্ছা করিবে না, এবং অন্যান্য দেশীয় যোবাগণের ন্যায় স্বেচ্ছা-মত সর্ব্বত্র গমনাগমন করিতে ইচ্ছুক হইবে, ও ইউরোপীয় বর-বর্ণিনীগণের তুল্য ভাব ধারণ করিয়া সকল পুরুষের সহিত বাক্যালাপ করণে প্রবৃত্ত হইবে। এইরূপে তাহারা সর্ব্বত্র গতায়াত ও সর্ব্ব বিষয়ে দৃষ্টিপাত করিয়া আপনাপন অবস্থার প্রতি বিরক্ত হইবে, এবং অধীনতা-শৃঙ্খল হইতে মুক্ত হইতে ইচ্ছা করিবে। অতএব নারীগণকে বিদ্যা শিক্ষা করান কোন ক্রমেই যুক্তি সিদ্ধ নহে।” আহা! হিন্দুধর্ম্মাভিমানী মহদাশয়গণ কি যুক্তিই করিয়া থাকেন; বিদ্যার কি আকর্ষণী শক্তি আছে যে তদ্দ্বারা নারীগণকে বাহির করিবে; আর নারীগণ যে স্বাধীনতা ইচ্ছা করিবে, তাহারই বা প্রমাণ কি? একাল পর্য্যন্ত ত কোন দেশীয় কামিনীগণ স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয় নাই, তবে বঙ্গদেশীয় মহিলাগণ কি প্রকারে স্বাধীনতা ইচ্ছা করিবে। জগদীশ্বর স্ত্রী জাতিকে যে প্রকার স্বভাব ও ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন, তাহাতে বিশেষরূপেই প্রতীয়মান হইতেছে যে, নারীগণের অধীনতা ঈশ্বরাভিপ্রেত। সুতরাং