পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3)ー शिश्ब् সখও মন্দ নয়, বীণাযন্ত্ৰটী পৰ্য্যন্ত হাতে কোরে এসেছেন । নিজেকে নিতান্ত নিঃসহায়ভাবে কুমারীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে, বীণাযন্ত্রটি যাতে এ যাত্ৰা বাক্ষা পায়ু সেই জন্য যন্ত্রসমেত দক্ষিণ হস্তখানি উৰ্দ্ধে তুলেছেন, এবং অন্য দুটি কুমারী বীণাযন্ত্রটি কেড়ে নেরার জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা কোচ্ছে । নারদ বেচারীর ব্যতিব্যস্ত ভাব দেখে আমার বড়ই হাসি এল । তার পরই দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরের ছবি দেখতে পেলুম। অর্জন লক্ষ্য ভেদ কোরেছেন ; দ্ৰৌপদী তাকে বরমাল্য দিতে যাচ্ছেন, মধ্যপথে যেতে না যেতেই সমাগত ক্ষত্ৰিয় রাজগণ একযোগ তোয়ে যে যার অস্ত্ৰ নিয়ে অর্জনের দিকে ছুটে চোলছেন, যেন তাদের প্রজালিত ক্ৰোধ-বহ্নি তৃণের ন্যায় এখনি অর্জনকে দগ্ধ কোরবে। অর্জনের কিন্তু সে দিকে ভ্ৰক্ষেপ নেই, তিনি শান্তমুখে ধীর ভাবে যুধিষ্ঠিরের আদেশ প্রতীক্ষা কচ্ছেন। সুদীর্ঘ হস্তে বিশাল ধনু ও সুতীক্ষ বাণ, যেন অগ্রাজের সামান্য অঙ্গলীসঙ্কেতামাত্রে এই অগণ্য শক্রিসমষ্টি নিপাতে প্ৰবৃত্ত হোতে পারেন । ধন্য চিত্রকর, যে চলীর সামান্য চালনায় এই ছবি একোছে । একদিকে অচাঞ্চল বীৰ্য্য ও গাম্ভীৰ্য্য, অন্যদিকে ভ্রাতার প্রতি অসাধারণ নির্ভর । সম্মুখে মৃত্যু স্রোত ভীর গর্জনে অগ্রসর হোচ্ছে, সে দিকে লক্ষ্য নেই ; শুধু জ্যেষ্ঠ শ, ৩৷৷ ক অনুমতি করেন। তাই জানিবার জন্যে তার দিকে বদ্ধদৃষ্টি । ” দ্ৰৌপদী যেন এই আকস্মিক বিপদে কিঞ্চিৎ ভীত হোস্ত্রেছেন ; কিন্তু তিনি বীরের কন্যা, বীরকে পতিত্বে বরণ করবার জন্য অগ্রসর হোচ্ছেন, ভয় তার সাজে না , তাই তার মুখে ভয় অপেক্ষা কৌতুকের আবেশই বেশী পরিমাণে অঙ্কিত হোয়েছে। তিনি বিশ্বফারিত নেত্ৰে সেই ক্রদ্ধ রাজন্য বর্গের দিকে চেয়ে রোয়েছেন । এই বিপ্লববাহিত্যুর মধ্যে তঁাকে একাকী। দেখে পঞ্চাল কুমার ধৃষ্টদ্যুম্ন ত্ৰস্তপদে ভগিনীর দিকে অগ্রসর হোচ্ছেন, যেন তার বীর হৃদয়ের দুৰ্ভেদ্য বৰ্ম্মে ছোট বোনটির নবীন সুকোমল দেহধানি এই ঘোর বিপদের মধ্যে রক্ষা করবেন । । r