পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্ণুপ্রিয়াগপথে δ \όνο বিস্তৃত মঠপ্রাঙ্গণে বোসে একজন পলিতকেশ বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর মুখে মঠের শোচনীয় ইতিহাস শুনতে লাগলুম। মহামহিমান্বিত যোশীমঠের এই শোচনীয় কাহিনী আমার মনে শুধু মানবহৃদয়ের দুর্বলতা, হীনতা ও স্বার্থপরতার কথাই জাগিয়ে দিতে লাগলো। দূর হোতে মনে হোত, যারা সংসার তাপদগ্ধ ক্লিষ্ট পার্থিব হৃদয়ের অনেক উৰ্দ্ধে শান্তি ও প্রীতির সুশীতল ছায়া উপভোগ করেন, পৰ্ব্বতের কোলের এই সকল পবিত্র তীর্থে তাদের দর্শন কোরে এবং তাদের কাছে সান্তুনার কথা শুনে হৃদয়ের অশান্তি ও দুৰ্ব্বলতা খানিকটে দূরে যাবে, চতুর্দিকে বাহ প্ৰকৃতি শরীর ও মন উভয়কেই পবিত্র পরিতৃপ্ত কোরে তুলবে; সেই আশাতেই এত দূরে এত কষ্ট কোরে এসেছিলুম। বাহ প্ৰকৃতি তার অনন্ত সৌন্দর্য্যের দ্বার উন্মুক্ত কোরে আমাকে মুগ্ধ কোরে ফেলেছে, এই স্বৰ্গীয় শোভা আমার হৃদয়ে পরিব্যাপ্ত হোয়ে রয়েছে। কিন্তু মানবের সে দেবহৃদয় কই ? সেই আত্মত্যাগ ও সমদৰ্শিতার উজ্জল দৃষ্টান্ত—যা বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, এবং যা দেখবার আশাতে এতদূর এসে পড়েছি,-তা কোথায় ? false esta ২৭ মে, বুধবার—অপরাহ।-আজ যোশীমঠ হোতে বের হবার একটুও ইচ্ছা ছিল না। শুধু একদিনের জন্যই নয়, আমার ইচ্ছা তিন চারি দিন এখানে থাকি। শঙ্করাচাৰ্য্যের এই অতীত গৌরবের সমাধিক্ষেত্ৰ, এই স্থান ছেড়ে আমার সহজে যেতে ইচ্ছে কোরেছিল না। থাকবার ইচ্ছ। কলুম বটে,কিন্তু থাকা হোলো না ; স্বামিজীী জিন্দকরতে লাগলেন, আজই রওনা দুহাতে হবে ; তার উপর অসহিষ্ণু বৈদান্তিকের তাড়না অসহ্য হোয়ে