পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যাবৰ্ত্তন । Rer কবিতা বলে তার মনটা প্ৰফুল্ল করবার চেষ্টা করি। তারপর আবার তাকে নিয়ে উঠি-ধীরে ধীরে পায়ে পায়ে তাকে নানারকমের অদ্ভূত গল্প বোলে --মা। যেমন ছোট ছেলেটির মান গল্পে আকৃষ্ট কোরে তঁার চঞ্চল শিশুটীকে ঘুমের রাজ্যে নিয়ে যান, তেমনি আমিও তার অজ্ঞাতসারে তাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্চি, অজ্ঞাতসারে তার গতিবৃদ্ধি হোচ্চে । এই রকম কোরে ছয় ঘণ্টায়ু প্ৰায় ছয় মাইল পথ পার হোয়ে লালসাঙ্গায় হাজির হওয়া (55 | নারায়ণে যাওয়ার সময় লালসা সার বাজারটা পৰ্য্যন্ত ঘৱে দেখি নি। এবার লালসাঙ্গায় এসে সেবারকার সেই দোকানের উপর ঘরেই বাসা নেওয়া গেল । আহারাদির বন্দোবস্তের ভার সঙ্গীদের উপরে সমৰ্পণ কোরে বাজার দেখতে বেরিয়ে পড়া গেল । বাজারের ঘরগুলি বেশ বড় বড়, অধিকাংশই দোতােল। দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জিনিসপত্র আছে । চারিদিক দেখতে দেখতে আমি বাজারের শেষ প্ৰান্তে উপস্থিত হোলুম। সেখানে একটা ছোট অথচ বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কুটীরের সম্মুখে একটু জনতা দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি চার পাচজন লোক দাড়িয়ে আছে । ব্যাপার কি জানবার জন্যে একট, অগ্রসর হোয়ে দেখি, দুজন স্ত্রীলোক হিন্দী ও বাঙ্গলায় কথা মিশিয়ে ঝগড়া কোরচে। এই দূরদেশে বাঙ্গল” কথা, তা অ্যাবার স্ত্রীলোকের মুখে ; আমি আরও খানিকটে অগ্রসর হোলুম। সে সময় আমার চেহারা এমন হয়েছিল যে, আমার অতি নিকট বন্ধুও আমাকে বাঙ্গালী বোলে সন্দেহ কোর্তে পাৰ্ত্তেন না, সুতরাং সেখানে যে সমস্ত পাহাড়ী দাড়িয়ে ঝগড়া দেখছিল, আমিও তাদের মধ্যে একজন হোয়ে পোড়লুম ; কিন্তু গিয়ে দেখি সেখানে না গেলেই ভাল হোতে। সে দৃশ্য দেখে আমার যেমন কষ্ট তেমনি রাগ হোলো । অনেক দিন হতেই সাধু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে চলা ফেরা, আহার উপবেশন কোচ্চি, সাধারণের