পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sybr হিমালয় । দুখানি যেন কলে চলছে। কারও মুখে কথা নেই। এমন অবসাদ নিয়ে কি বেশী পথ চলা যায় ; কাজেই বেলা যখন দশটা তখন আমরা সবে চার মাইল রাস্তা এসে কালকাচটিতে বাসা নিলুম। এখন পথ ঘাট সব চেনা ; যে চটিতে যাবার সময় বাস ক’রে গিয়েছি, সে চটওয়ালাকে পৰ্যন্ত বেশ ভাল ক’রে মনে ক’রে রেখেছি। বিদ্যাবুদ্ধি মোটেই নেই, টাকা কড়ি দিয়ে যে লোককে বশ করবো তাও তেমন ছিল না ; তবে একটি জিনিস সম্বল ক’রে এ পথে বেরিয়েছিলুম, সেটি “শীতল বুলি’ ৷ একটা দোহা আমি সৰ্ব্বদাই আবৃত্তি কর তুম এবং জীবনে সেটিকে কায্যে পরিণত করবার জন্য অনেক চেষ্টাও করেছি ; সে চেষ্টা যে নিতান্তই বৃথা করি নি, তার প্রমাণ এই নারায়ণের পথে পেয়েছি। দোহাটী ঠিক হবে কি না বলতে পারি না, তবে আমি তাকে এই আকারেই পেয়েছি ;- “ইয়ে রসনা বশ কর, ধীর গরিবি বেশ, শীতল বুলি লেকে চলে, সবহি তুমহারা দেশ।” এই “শীতল বুলি”—এই মিষ্ট কথাতেই সকলের সঙ্গে মিলে এশ চলে এসেছি। আমার ত এই অভিজ্ঞতা জন্মেছে যে, পথে ঘাটে চলতে হলে টাকায় কুলায় না, মান মৰ্য্যাদা, গর্ব অহা স্কার পদে পদে বিড়ম্বিত হয় ; তারা কোন দিনই পথের সঙ্গী নয়, তা এই পাহাড়ের মধ্যেই হউক, আর ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর রেলের গাড়ীতেই হউক। নিজের ধন, মান, মৰ্য্যাদা, বংশগৌরব নিজের গ্রামে বা আশ্রিতমণ্ডলীতে বেশ গুছিয়ে আপন আধিপত্য বিস্তার করুতে পারে, পথে ঘাটে তা বিশেষ অসুবিধাই ঘটিয়ে দেয়। এই মিষ্ট বাক্যে সকল চটওয়ালাকেই বাধ্য ক’রে আমরা পথ চলেছি । " কালকাচটিতে আমরা পৌছিলে চটওয়ালা আমাদের দেখে বড়ই Bk LLuTeT 0kJBLSS ukTuu LSDB BuBuSLumLtuB BBBLLT BDBBB BB DDBYS