পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । 6. ছেমচন্দ্র । মা, খুড়র ব্যবহার আমি সব জেনেছি। আমি যত শীঘ্র পারি আপনাকে লয়ে যাব, আমার আর পৈত্রিক ভিটের উপর মায় নাই । তারা। (সভয়ে চারিদিকে চাহিয়) তা হ'কু বাবা, যখন তুমি পা’রবে তখন আমাদের নিয়ে যেও, এখন সে সব কথা থাকৃ ; প্রতিবর্বাক্যে আশীৰ্ব্বাদ করি তুমি বাবা নীরোগ ছ’য়ে থাক আমি আর কিছু চাই নি । হেমচন্দ্র। মা, পরমেশ্বর অবশ্বই মুখ তুলে চাইবেন, সতের পুরস্কার ऊिनि उप्रदर्श्वहे क'ड्दन । তার। থাকু বাবা ওকথা থাকৃ—একটু ব’সো, তোমার খুড়ীমা উমলে একটা প্রণাম ক’রে যেও, বয়সেই বড় ন হোগ, সম্পর্কেত বড় । হেমচন্দ্র। ( কিঞ্চিৎ ভাবিয়া) আগসছ ম আপনি যা ইচ্ছা করেচেন আমি তাই ক’বে, খুড়ী উঠুন—কিঞ্চিৎ পরে শয়ন-গৃহ হইতে বহির্গত হইয়। কিঞ্চিৎ দূর দিয়া জগদম্বার গমন) কাকি, দাড়ান, আমি যাচ্চি, আপনাকে প্রণাম করি । জগদম্বা। (নিকটে আসিয়া, স্বগত) বুড়ী অবিশুি শিখিয়ে দিয়েচে, অণর সরলাও বলেচে, তা না হলে ও যে ডেকে আমাকে প্রণাম করে এতে কখনই হ’তে পারে না—সরলাটাকে দেখলে আমার গায়ে বিষের জ্বালা দেয়—পোড়ামুখী ভাতারের নামে যেন গ’লে পড়ে, আর ভাতারও তেমনি মাগ মাগ ক’রে পাগল ; যদি এক শো মেয়েমানুষ থাকে ত তাদের দিকে ঘাড় তুলে চায় না ; সাধে কি রাগ হয় ! হেমচন্দ্র। কাকী আমি এখন চলুম, আমার মাকে আর সরলাকে দেখবেন। জগদম্বা । দেখবে। ! ( মাতার নিকট বিদায় লইয়া হেমচন্দ্রের গমন । )