পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮

প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি ইহা ব্যবস্থাসঙ্গত, যুক্তিসঙ্গত। সাধারণের হিতার্থই রাজ্যশাসন। প্রত্যেক রাজকর্ম্মচারী সাধারণের ভৃত্য, তাহাদিগের শক্তি প্রজার মঙ্গলার্থ তাহাদিগের হস্তে ন্যস্ত রহিয়াছে। তাহারা সাধারণের সেবক (সরকারী চাকর) ইহা উক্তি মাত্র নহে প্রকৃত প্রস্তাবেই তাহারা জনসাধারণের ভৃত্য। সুতরাং তাহাদিগের কার্য্য কলাপের সমালোচনায় সাধারণের সম্পূর্ণ অধিকার আছে। শাসন বিভাগের অনুমতি সম্বন্ধে প্রত্যহই লোকে সমালোচনা করিয়া থাকে। আদালতের মীমাংসা সম্বন্ধেও এই নিয়ম অনুসৃত হয়। এ বিষয়ে এ দেশের “এংগ্লো ইণ্ডিয়ান্” সম্প্রদায় আমাদিগকে উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন; আপনারা জানেন তাঁহাদিগের সম্প্রদায়ভুক্ত কোন ব্যক্তি রাজদ্বারে অবৈধ ভাবে দণ্ডিত হইয়াছেন বিশ্বাস হইলে তাঁহারা কি করেন? তাঁহারা পুনঃ পুনঃ আন্দোলন করেন, এবং যতক্ষণ পর্য্যন্ত কোন প্রকার প্রতিকার লাভ ন হয় ততক্ষণ আন্দোলনে বিরত হন না। “বেইনকেস” নামক প্রসিদ্ধ মামলায় তাঁহারা কি করিয়াছিলেন, তাহা আপনার অবগত আছেন। হাইকোর্টে আসামী অব্যাহতি পাইবার পরেও তাঁহার কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিয়া প্রার্থনা করেন যে ভবিষ্যতে বিচারের অভিনয় যেন আর না হয়। সুতরাং এই সম্মান প্রকাশের সভা করিয়া আমরা প্রজস্বত্বের ব্যতিক্রম করি নাই, বরং এরূপ করায় আমাদিগের শাস্তিপ্রিয়তা ও কর্ত্তব্যের উপলব্ধিই প্রকাশ পাইতেছে।