পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৫২ ]

মুন্সী দেদার বক্স মহোদয়ের প্রস্তাব এবং সমবেত জনগণের সম্মভিক্রমে মৌলবী লিয়াকৎ হোসেন সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। অতঃপর সভাপতি মহাশয়ের অনুরোধক্রমে মুন্সী দেদার বক্স বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, হিন্দু ও মুসলমান এই উভয় সম্প্রদায় দীর্ঘকাল সম্প্রীতি সহকারে এদেশে বাস করিতেছেন। মুসলমান নরপতিদিগের শাসনকালে ভারতবর্ষ বিশেষ সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইয়াছিল এবং হিন্দু মুসলমানের মধ্যে আন্তরিক প্রতি ও সৌহৃদ্য বিদ্যমান ছিল। এখনও মুসলমানদিগের প্রতি হিন্দুদিগের প্রীতি ও সহৃদয়তা অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। একবার বক্তা রেলগাড়ীতে দারুণ বেদন রোগে আক্রান্ত হইলে উপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় নামক একজন হিন্দু যুবক শুশ্রূষা করিয়া তাঁহার প্রাণ রক্ষা করেন। দেশের কল্যাণ সাধন করিতে গিয়া যাঁহারা লাঞ্ছিত হইয়াছেন, এবং স্বদেশবাসীর নিকট সম্মান-সুচক পদক প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহাদিগের মধ্যে একজনও মুসলমান নহেন,— ইহাই গভীর পরিতাপের বিষয়।

 অতঃপর ডাক্তার আবদুল গফুর বক্তৃতা করেন, তিনি মুসলমান যুবকদিগকে স্বদেশ-প্রীতি ও স্বদেশের মঙ্গল সাধন বিষয়ে লাঞ্ছিত স্বদেশভক্তদিগের পদাঙ্কামুসরণ করিতে বলেন এবং মুক্তকণ্ঠে লাঞ্ছিত ব্যক্তিবর্গের ধন্যবাদ করেন।

 গফুর মহোদয়ের বক্তৃতা শেষ হইলে শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ মহাশয় বলেন যে,—স্বদেশের কার্য্যে মুসলমান সম্প্রদায়ও নিশ্চেষ্ট নহেন। তাঁহারাও স্বদেশী শিল্পের উন্নতি ও প্রচলনকল্পে