বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৬৪ ]

মোকদ্দমার বিচার করেন। তিনি ভারতীয় দণ্ড-বিধির ৩৫২ ও ৩৭৯ ধারা অনুসারে মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া তাহার ৫০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। ফরিদপুরের সেশন জনের নিকট এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছিল।

 এই মোকদ্দমা পরে ঘটায় পূর্ব্বতন মহাসভায় উল্লিখিত হইতে পারে নাই। কিন্তু পরিশেষে সভার সম্পাদক ইহাকে স্বতন্ত্র একটী রৌপ্য দোলক বা রূপার লকেট দিয়াছিলেন।

বৰ্দ্ধমান—মানকর।

 গত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে মানকরের জমীদার বাবু রাজকৃষ্ণ দীক্ষিতের অনুমতি ক্রমে তাঁহার লোক একজন মোদকের বাটীতে গিয়া বিলাতী চিনি ফেলিয়া দিতে বলে। মোদক “আমি দোকানে বিলাতী চিনি রাখিয়া অপরাধ করিয়াছি” এই বলিয়া দোকান হইতে চিনি বাহির করিয়া দেয়। এ ব্যাপারে কোন প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গামা হয় নাই, কিন্তু পুলিশ মোদককে হস্তগত করিয়া রাজকৃষ্ণ বাবু ও তদীয় কর্ম্মচারীদিগের বিরুদ্ধে, জুলুম, অনধিকার প্রবেশ প্রভৃতি দোষারোপ করে। আদালতে রাজকৃষ্ণ বাবুর একশত টাকা অর্থদণ্ড ও এজলাস ভাঙ্গার সময় পর্য্যন্ত অবরোধের আদেশ হয়। রাজকৃষ্ণ বাবুকে সম্মান প্রদর্শনার্থ রজত পদকাদি প্রদত্ত হইয়াছিল।

জলপাইগুড়ি।

 অগ্রহায়ণ মাসে বাবু দুর্গাদাস চক্রবর্ত্তী, চণ্ডীদাস চক্রবর্ত্তী