জীবনের শেষ কয়েক দিবসের কথা। 281 ফিরিয়া আসিয়াছেন এবং শ্রাদ্ধের করণীয় বিষয় সমূহ পুত্রগণের নিকটে বলিতেছেন। “বাটীর নিকটস্থ উদ্যানে যে বিশ্ববৃক্ষটা আছে তাহার যে ডালটি পূর্বদিকে প্রস্থত হইয়াছে তাহা ছেদন করিয়া যেন যুপকাষ্ঠ ( কৃষকাষ্ঠী) প্রস্তুত করা হয়, যেন বাটী সংলগ্ন পুষ্পেপাদ্যান নষ্ট করিয়া তাহাতে ম্যারাপ বাধিয়া সমাগত ব্যক্তিগণের সম্বৰ্দ্ধনার জন্য স্থান প্রস্তুত না করা হয় এবং শ্রাদ্ধোপযোগী ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বিদায়ের সামগ্রী সকল পুজার দালান ও তৎসম্মুখস্থ প্রাঙ্গনে সাজান হয়, চারিখানি বাটীতে যথেষ্ট স্থান আছে তাহাতে ব্রাহ্মণ ভোজন প্রভৃতি করাইবে।” আমাকে বলিলেন “গৃহদেবতা রঘুনাথের” ভার আমি পুরোহিত মহাশয়ের হস্তে দিয়াছি। আপনি আমার পুত্রগণ ও অন্যান্য পরিবারবর্গের যাহাতে কল্যাণ হয় তাহার সাধন করিবেন। আমার শ্রাদ্ধ বেদীতে কঠোপনিষদের নচিকেতা উপাখ্যান আমার শিক্ষা গুরু শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের দ্বারা পাঠ করাইবেন আর জৈমিনী যোগসূত্র, বিরাট ও ভগবদগীতা প্রভৃতি পাঠের জন্য আপনি পাঠক স্থির করিবেন। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণের বিদায়ের ভার আপনার হস্তে রহিল।” সেই সময় পোর্ট কমিশনারের এঞ্জিন হইতে শ্রবণভেদী হুইসালের শব্দ উখিত হইতেছিল। উহা নিবারণ জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে আবেদন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ BBD DD LOgt DBBBB SLSSBDBD sLLDDD DDD BDD LDB কোন ব্যাঘাত হইতেছে না।” পরীক্ষণেই বলিলেন আমি একাকী এই পৃথিবীতে আসিয়াছি এবং আমার জন্ম সময়ে সুতিকাগৃহে বোধ হয় দুই একটা মাত্র স্ত্রীলোক ছিল সেইরূপ আমার জীবনান্ত সময়ে যেন আপনি এবং কতিপয় মাত্র আত্মীয় ব্যতীত আর কেহ না থাকে। আমি ইচ্ছা! করি। ইদানীন্তন প্রথা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সম্বৰ্দ্ধনা জন্য দর্শকবৃন্দে এবং তাহাদের বিবিধ প্রকার যান বাহনাদি দ্বারা যেন গঙ্গাতীর পুর্ণ না হয়।”