ভাগবত—জীবন চক্রবর্তী—১৮শ শতাব্দী। >>S) আমার বচন শুন মোরে ডাক কি কারণ বিবরিয়া কহিবে সকল। চক্রবর্তী নারায়ণ তস্ত পুত্র জীবন রচিলেন শ্রীকৃষ্ণ-মঙ্গল॥ আমার বচন শুন গোপের অঙ্গনী। নেয়ের সঙ্গে বিতর্ক। আসিতে যাইতে কত পাইলে যন্ত্রণ॥ বেলা হৈল অবসান দূরে আছে ঘর। দুই চারি নহ গোপী দেখিএ বিস্তর। পুরাতন তরী মোর নাহি সহে ভার। কেমনে করিব আমি এত গোপী পার॥ আজিকার মত যদি থাক এইখানে। কালি পার করি দিব বড়ই বিহনে॥ পুরুষ নাহিক সঙ্গে যদি বাস ভয়। আমি নাঞি যাব ঘর কহিল নিশ্চয়॥ তবে যদি না থাকিবে আমার বচনে। . বস্থপণ (১) কর্যা কড়ি লব জনে জনে॥ যে করিতে পারি (২) তাহ আজি করি পার। প্রভাতে করিব পার যেবা থাকে আর॥ তরঙ্গিণী-তরঙ্গ দেখিতে লাগে ভয়। কেমনে সকল গোপী আজি পার হএ॥ শুনিএ সকল গোপী যত যত জন। চাতুরাই (৩) করি সভে ভাবে মনে মন॥ ঠেকিল দানীর হাতে কিবা পুনর্ব্বার। সেই মত যত কথা কহে কর্ণধার॥ রূপ শোভা দেখি যেন নবীন যৌবন। কেহ বলে নায়্যা কিবা করিল এমন॥ অন্তর জানিএঃ কেহ না করে প্রকাশ। বড়াইরে বৈল গোপী হইল জাতিনাশ॥ আজি কর্ণধার যদি নাই করে পার। ভবনে গমন তবে না হইবে আর॥ (১) আট পণ। (২) যতটিকে আজ পার করিতে পারি। (৩) চাতুরী। > S &