প্রবেশদ্বার:জীবনী/নির্বাচিত/২

উইকিসংকলন থেকে

বুদ্ধের জীবন ও বাণী বরেন্দ্র অঞ্চলের পণ্ডিত শরৎকুমার রায় রচিত জীবনীগ্রন্থ। এই বইয়ে গৌতম বুদ্ধের জীবন ও উপদেশ স্থান পেয়েছে। এই বইয়ের তথ্যের জন্য লেখক থমাস উইলিয়াম রিসডেভিড, পল কেরাস, এড্‌মণ্ড হোম্‌স প্রভৃতি পণ্ডিতদের রচনা হতে সাহায্য নিয়েছেন। ক্ষিতিমোহন বাবু এই বইয়ের ভূমিকা লিখে দিয়েছেন।

কুশীনগর হইতে কুমায়ুনপর্য্যন্ত ভূভাগ এককালে শাক্যবংশীয় ক্ষত্রিয়দের নিবাসভূমি ছিল; এই প্রদেশের উত্তরে হিমগিরিশ্রেণী তরঙ্গাকারে বিরাজিত, পূর্ব্বে প্রতাপশালী মগধ ও লিচ্ছবিদের রাজ্য, এবং পশ্চিমে কোশল রাজ্য অবস্থিত ছিল। বিষ্ণুপুরাণে বর্ণিত হইয়াছে যে, মগধরাজ নন্দ এক সময়ে ধরা নিঃক্ষত্রিয় করিয়াছিলেন; তাঁহার অভ্যুদয়ের বহুপূর্ব্ব হইতেই ক্ষত্রিয়েরা হীনবীর্য্য হইয়াছিল; দেশের এই দুৰ্গতির দিনে শাক্যের দেশরক্ষার ভার গ্রহণ করেন। শাক্যরাজ্যের রাজধানী কপিলবাস্তু নগর রোহিণীনামক একটি পার্ব্বতীয় স্রোতস্বিনীর তীরে অবস্থিত ছিল। এই নগরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে। চীন দেশীয় পরিব্রাজকেরা যখন ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন, তাহার পূর্ব্বেই এই নগর বিনষ্ট হইয়াছিল। সুপণ্ডিত কার্লাইল সাহেব ১৮৭৫ খৃস্টাব্দে কপিলবাস্তুর অবস্থান নির্ণয় করিয়াছেন। এই প্রাচীন নগরটি যেস্থানে বিদ্যমান ছিল, উক্তস্থান এখন ভুইলাগ্রাম নামে পরিচিত। গ্রামের সমীপে একটি হ্রদ আছে এবং অনতিদূরে একটি নদী প্রবাহিত। বুদ্ধের জন্মভূমি কপিলবাস্তু বারাণসীধাম হইতে শতাধিক মাইল উত্তরে এবং অযোধ্যা হইতে ২৫ মাইল উত্তরপূর্ব্বে অবস্থিত। বুদ্ধচরিত-প্রণেতা অশ্বঘোষ বলেন যে, এই স্বভাবসুন্দর নগর এককালে কপিল ঋষির সাধনক্ষেত্র ছিল এবং সেইজন্যই নগরটির নাম কপিলবাস্তু হইয়াছে। অশ্বঘোষের অপর কাব্য সৌন্দরানন্দে কথিত আছে যে, সূর্য্যবংশীয় একব্যক্তি পিতৃশাপগ্রস্ত হইয়া কপিল মুনির আশ্রমে আশ্রয় লাভ করিয়াছিলেন; কালক্রমে তাঁহার বংশধরেরা এখানে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়া রাজত্ব করিতে থাকেন। ইহার শাকবন-বেষ্টিত ঋষির আশ্রমে বাস করিতেন বলিয়া “শাক্য” আখ্যা পাইয়াছিলেন।

এই নির্বাচিত বইটির Mobi ফাইল ডাউনলোড করুন। এই নির্বাচিত বইটির EPUB ফাইল ডাউনলোড করুন। এই নির্বাচিত বইটির ODT ফাইল ডাউনলোড করুন। এই নির্বাচিত বইটির PDF ফাইল ডাউনলোড করুন।
(বাকি অংশ পড়ুন...)