এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
৮৯
ঠিক এমন সময়ে শশাঙ্ক ঘরে ঢুকে জিজ্ঞাসা করলে, “ব্যাপারখানা কী। বিয়ের দিন স্থির হয়ে গেল বুঝি?”
“হাঁ শশাঙ্কদা, স্থির হয়ে গেছে।”
“কিছুতেই নড়চড় হবে না?”
“কিছুতেই না।”
“তাহলে এইবেলা সানাই বায়না দিই, আর ভীমনাগের সন্দেশ?”
“তােমাকে কোনাে চেষ্টা করতে হবে না।”
“নিজেই সব করবে? ধন্য বীরাঙ্গনা। আর কনেকে আশীর্বাদ?”
“সে-আশীর্বাদের টাকাটা আমার নিজের পকেট থেকেই গেছে।”
“মাছের তেলেই মাছভাজা? ভালাে বােঝা গেল না।”
“এই নাও বুঝে দেখো।”
ব’লে চিঠিখানা ওর হাতে দিলে।
পড়ে শশাঙ্ক হাে হো করে হেসে উঠল।
লিখছে, যে-রিসার্চের দুরূহ কাজে নীরদ আত্মনিবেদন করতে চায়, ভারতবর্ষে তা সম্ভব নয়। সেই জন্যেই ওর জীবনে আর একটা মস্ত স্যাক্রিফাইস মেনে