পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকা মাইনের চাকরিও পেল-কিন্তু বেশী দিন রইল না, মাস-দুই পরে তারা বললে,--ব্যবসার অবস্থা খারাপ, এখন লোক দরকার নেই। সুতরাং জ্যাঠামশায়দের সংসারে মাথা গুজে থাকা ছাড়া আমাদের উপায় বা কি ? নিতান্তু লোকে কি বলবে এই ভেবে এর রাজী হয়েছেন। কিন্তু এখানে আমাদের খাপ খায় না-এখানে মাত্র যে শুধু এ বাড়িতে তা নয়, এ দেশটার সঙ্গেই খাপ খায় না। বাংলা দেশ আমাদের কারও ভাল লাগে না-আমার না, দাদার না, সীতার না, মায়েরও না । না দেশটা দেখতে ভাল, না। এখানকার লোকেরা ভাল। আমাদের চোখে এ দেশ বড় নিচু, আঁটার্সাটা, ছোট ব’লে মনে হয়-যে-দিকেই চাই চোখ বেধে যায়, হয়। ঘরবাড়িতে, না-হয় বঁাশবনে ? আমবনে। কোথাও উচুনীচু নেই, একঘেয়ে সমতলভূমি, গাছপালারও বৈচিত্র্য নেই। আমাদের এ গায়ের যত গাছপালা আছে, তার বেশীর ভাগ এক ধরনের ছোট ছোট গাছ, এর নাম বলে আশশেওড়া, তাদের পাতায় এত ধুলো যে সবুজ রঙ দিনরাত চাপা পড়ে থাকে। এখানে সব যেন দীনহীন, সব যেন ছোট মাপকাঠির মাপে গড়া। আমাদের দিক থেকে তো গেল। এই ব্যাপার। ওঁদের দিক থেকে ওঁরা আমাদের পর ক’রে রেখেছেন এই তিন-চার বছর ধরেই। ওঁদের আপনার দলের লোক ব’লে ওঁরা আমাদের ভাবেন না । আমরা খিরিস্টান, আচার জানিনে, হিন্দুয়ানী জানিনে-জংলী জানোয়ারের সামিল, গারো পাহাড়ী অসভ্য মানুষদের সামিল। পাহাড়ী জাতিদের সম্বন্ধে ওঁরা যে খুব বেশী জানেন তা নয়-এবং জানেন না বলেই তাদের সম্বন্ধে ওঁদের ধারণা অদ্ভূত ও আজগুবী ধরনের । এদেশে শীতকাল নেই-মাস দুই-তিন একটু ঠাণ্ডা পড়ে। তা ছাড়া সারা বছর ধ’রে গরম লেগেই আছে।--আর সে কি সাংঘাতিক গরম ! সে গরমের ধারণা ছিল না কোন কালে আমাদের । রাতের পর রাত ঘুম হয় না, দিনমানেও ঘামে বিছানা ভিজে যায় ব’লে ঘুম হয় না। গা জলে, মাথার মধ্যে কেমন করে, রাত্ৰে যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে একএকদিন । তার ওপরে মশা। কি সুখেই লোকে এ-সব দেশে বাস করে! 8 জ্যাঠামশাইদের বাড়ির শালগ্ৰামশিলার ওপর আমার ভক্তি ছিল না। ওঁদের জাকজমক ও পুজার সময়কার আড়ম্বরের ঘটা দেখে মন আরও বিরূপ হয়ে উঠল। আগেই বলেছি আমার মনে হ’ত ওঁদের এই পূজা-অৰ্চনার ঘটার মূলে রয়েছে বৈষয়িক উন্নতির জন্যে ঠাকুরের প্রতি DTLYB EEBD C BDBDB DBLDLL BDLDt DDB DBD CB BBBY uDBDB DDz 8急