পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 এই সময় সাইমন-কমিশন ভারতের সর্ব্বত্র পরিভ্রমণে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল যে, তাঁহারা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বিশরূপে পর্য্যালোচনা করিবেন এবং স্থির করিবেন যে ভারতবর্ষকে কতটা শাসন-ভার দেওয়া যাইতে পারে, তাহা নির্ণয় করিবেন।

 কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তখন সুভাষচন্দ্র ও পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। কমিশনের ঐ উদ্দেশ্য—অর্থাৎ ভারতবর্ষকে কতটুকু দেওয়া যাইতে পারে এই সঙ্কীর্ণ নীতি তাঁহাদের মনঃপূত হইল না; তাহার ফলে কংগ্রেস স্থির করিলেন, সাইমন-কমিশন বয়কট করা হইবে।

 ১৯২৮ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারী সাইমন-কমিশন বোম্বাইয়ে পদার্পণ করিতেই, সহস্র কণ্ঠে “সাইমন, ফিরিয়া যাও,” জনমতের এই সুস্পষ্ট দাবী সমস্বরে ঘোষিত হইল এবং শত-শত কৃষ্ণ পতাকা সঞ্চালিত হইয়া কমিশনকে অবাঞ্ছিত বলিয়া প্রচার করিল। বাংলাদেশে সাইমন-কমিশন বয়কটকে তীব্র করিয়া তুলিলেন সুভাষচন্দ্র স্বয়ং!

 সুভাষচন্দ্র ভাবিয়াছিলেন, এই সাইমন-কমিশনকে কেন্দ্র করিয়াই তিনি এমন এক বিরাট আন্দোলনের সৃষ্টি করিবেন, যাহাতে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ জনমতের নিকট ব্রিটিশ-প্রভুত্ব চিরদিনের জন্য অবনত হইয়া যায়! সেইজন্য মে মাসে তিনি সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া, তাঁহাকে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব করিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু