পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
জয়তু নেতাজী

ঘোষণার মন্ত্র। জাতির আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য পাশ্চাত্যের নিকট হইতে বঙ্কিমচন্দ্র যজ্ঞের যে সমিধ সংগ্রহ করিয়াছিলেন, এবং ভারতীয় ভাবে শোধন করিয়া তাহাতে যে অগ্ন্যাধান করিয়াছিলেন, সেই অগ্নিতেই স্বামী বিবেকানন্দ নব পুরুষ-যজ্ঞের মন্ত্র উচ্চারণপূর্ব্বক আহুতি প্রদান করিলেন। ভারতের সেই প্রাচীন মুক্তি-সাধনাকেই, তিনি ঋষির অরণ্য, যোগীর গুহা, ভক্তের আশ্রম হইতে উদ্ধার করিয়া, জাতি ও সমাজের জীবন-সমস্যার সহিত যুক্ত করিয়া দিলেন। আহুতিশেষে সেই যজ্ঞাগ্নি হইতে যে পুরুষেব আবির্ভাব হইল, সেই বাণীই যে-মূর্ত্তি ধারণ করিল, তাহার লৌকিক নাম―নেতাজী সুভাষচন্দ্র। তখনও যজ্ঞশালার ___ সেই মন্ত্র কেহ কর্ণগোচর করে নাই, সেই পুরুষও কাহারও দৃষ্টিগোচর হয় নাই―অদূর ভবিষ্যৎ তখন বর্ত্তমান হইয়া উঠে নাই।

 সর্ব্বব্যাধি―সর্ব্বদুঃখ-মোচনের একমন্ত্র যে ঐ স্বাধীনতা, আর কিছুদ্বারা যে তাহা সম্ভব নয়― ঐ এক বস্তু লাভ করিতে পারিলে আর সকলই লাভ হইবে, না পারিলে কিছুই হইবে না―ইহা ভারতবর্ষে আর কেহ এমন করিয়া অনুভব করে নাই, এই মন্ত্রের আদি-ঋষি বা স্রষ্টা যে বাঙালী, গত পঞ্চাশ বৎসরের বাংলার, তথা ভারতের ইতিহাস তাহার সাক্ষ্য দিবে। ইহার কারণ কি? কারণ পূর্ব্বে বলিয়াছি; ইংরেজ-সংসর্গের বিষ ও অমৃত দুই-ই সে যে পরিমাণে পান করিয়াছে, এমন আর কেহ করে নাই। শেষে অমৃতের পরিবর্ত্তে বিষই তাহার আত্মাকে জর্জ্জরিত করিল