পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়—ঘণ্ট।
১৫১

হইয়া থাকে। বলা বাহুল্য পালঙ ও বথুয়া শাকের সহিত শলুপ শাক মিশাইয়া লইতে হইবে।

১৮১। সারঙ্গ পুঁটী দিয়া মটর শাকের ঘণ্ট

 সারঙ্গ পুঁটীর সহিত মটর শাকের সুন্দর ঘণ্ট হয়। এই ঘণ্ট রাঁধিতে সারঙ্গ পুঁটী মাছের চোঁচা (আঁইষ) ফেলাইয়া দেওয়া প্রয়োজন করে না। উহা আঁইষ সহই কুটিয়া লইয়া ঘণ্টে দিতে পারা যায়।

 চিতল মাছের মুড়া ও কণ্ঠার যোগেও মটর শাকের উত্তম ঘণ্ট হয়।

১৮২। আনাজি কলার সহিত ইলিশ মাছের ঘণ্ট

 আনাজি কলা সিদ্ধ করিয়া খোসা ছুলিয়া ছানিয়া লও। ইলিশ মাছের মুড়া-কাঁটা প্রভৃতি কষাইয়া রাখ। সম্ভবপর হইলে ঐ তৈলেই জিরা, তেজ পাত, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া আনাজি কলা ছাড়। আংসাও। নুণ, হলুদ দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে মাছ ভাঙ্গিয়া সমস্ত ঘাঁটিয়া মিশাইয়া দাও। বাটা ঝাল দাও। (ইলিশ মাছে ধনিয়া বাটা না দিলেও চলে)। পরে পিঠালী দিয়া আঁটিয়া লইয়া নামাও। তেজপাত ভাঙ্গিয়া কুটি কুটি না হয় তাহার ব্যবস্থা করিবে। ইহাতে তৈল একটু বেশী পরিমাণে দিবে।

 ইলিশ মাছ সহ আলু, কাঁঠাল বীচি, ওল, মান, বৈ-কচু, গড়আলু, শালুক প্রভৃতির ঘণ্ট এই প্রকারে রাঁধিবে। অপরাপর ঘণ্ট গরম গরম খাইতে ভাল, কিন্তু ইলিশ মাছ সহ এই সব আনাজের ঘণ্ট বাসী করিয়া খাইতেই অধিক ভাল লাগে।

 রুইমাছ যোগেও এই সব আনাজের ঘণ্ট রাধা যাইতে পারে।

১৮৩। ইলিশ মাছের সহিত ছাঁচী কুমড়ার ঘণ্ট

 রুই মাছের সহিত যেমন লাউয়ের ঘণ্ট মজে, ইলিশ মাছের সহিত