পাতা:আমিষ ও নিরামিষ আহার প্রথম খণ্ড.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৪ )

ইহাকে শেষের দিকে ফেলা যায় না। কারণ প্রকৃত পক্ষে পোলাওটা হইতেছে ঘৃতপক্ক ভাতের জাতীয় খাদ্য। পোলাওয়ের ন্যায় গুরুপাক খাদ্য শেষের দিকে খাওয়া বিধেয় না প্রথমেই খাওয়া বিধেয়, কোন সময়ে খাইলে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী তাহা চিকিৎসকের ও শারীর বিজ্ঞানবেত্তাদিগের বিচার্য্য।

 আমি এই পুস্তকে প্রথমে চামচের হিসাবে পরিমাণ দিয়াছিলাম এই মনে করিয়া যে চামচের পরিমাণ দিলে লোকের সুবিধা জনক হইবে। কিন্তু দুই চারিটী রান্না যখন ছাপা হইয়া গিরাছে তখন মনে হইল যে চামচের ব্যবহার কয়টা লোকই বা জানে; তাই আবার তোলা প্রভৃতি পরিমাণ আরম্ভ করা গেল। পরিশেষে বক্তব্য এই যে নুতন প্রণালীতে বিভাগে বিভাগে খাদ্যের সমাবেশ করিতে হইয়াছে বলিয়া অনেকটা বিলম্বেরও কারণ হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন অন্যান্য কারণেও বিলম্ব হইয়া পড়িয়াছে। আমাকে অনেক সংগ্রহ করিতে হইয়াছে এবং স্বহস্তে সেগুলি রাঁধিয়া পরীক্ষাও করিতে হইয়াছে। কিন্তু এই গুরুভার কার্য্য মস্তকের উপরে আমি কি সাহসে লইয়াছি? সর্ব্বোপরি ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদেই আমি ইহাতে হস্তক্ষেপ করিতে সমর্থ হইয়াছি বিশেষ আমার কনিষ্ঠ দাদা যেমন আমাকে উৎসাহ দিয়াছেন তেমনি অনেক বিষয়ে সাহায্যও করিয়াছেন। ঈশ্বরের চরণে প্রার্থনা ধেন তিনি বিঘ্নসমূহ দূর করিয়া দেন যাহাতে শীঘ্রই ইহার সমস্ত খণ্ডের ছাপা সমাপ্ত করিয়া পাঠকদিগের হস্তে অর্পণ করিতে পারি। ইতি

গ্রন্থকর্ত্রী——